বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণের ঘটনায় উজিরপুর থানায় বুধবার বিকেলে ও মঙ্গলবার রাতে পাল্টাপাল্টি ভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমপক্ষে তিন’শ লোককে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে উজিরপুর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বুধবার বিকেলে জরুরি সভা করে এমপি মনিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল চারটায় উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, সোহাগ মোল¬া, ডাঃ হরেন রায়, উর্মিলা বাড়ৈ, ফিরোজ হোসেন, আবুল কালাম সরদার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, এমপি ও তার পুত্র টি.আর, কাবিখা, ৪০ দিনের কর্মসূচী এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে কমিশন আদায়, অসৌজন্যমূলক আচরন, র্যাব কর্তৃক ক্রসফায়ারের হুমকি, উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি এবং তার পুত্রের প্রকাশ্যে বিক্ষুদ্ধ জনসাধারনের ওপর গুলিবর্ষনসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাংসদ মনি ও তার পুত্র রিয়াজুল ইসলাম সুমনকে উজিরপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদ মনিরুল ইসলাম মনি এবং তার পুত্র রিয়াজুল ইসলাম সুমনের মধ্যে দিনব্যাপী সশস্ত্র সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় উজিরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি ভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংসদ মনির পক্ষে গুঠিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন খান বাদি হয়ে উপজেলা চেয়াম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদলসহ ১০ জনের নাম উলে¬খসহ ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা, উপজেলা চেয়ারম্যান বাদি হয়ে এমপির পুত্র রিয়াজুল ইসলাম সুমনসহ দু’জনের নামউলে¬খ করে ২৫ জনকে আসামি করে, অন্যদিকে উজিরপুর থানার এস.আই মহিউদ্দিন বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উলে¬খ করে ২’শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। যে কারনে উজিরপুরে এখন গ্রেফতার আতংক দেখা দিয়েছে।