পলাশবাড়ীতে থানা পুলিশের আসামি বাণিজ্য

গাইবান্ধা প্রতিনিধির আরো সংবাদ দেখতে বিস্তারিত ক্লিক করুন

মোঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥  গত ১লা জুন পলাশবাড়ীর ঢোলভাঙ্গায় ডিবি পুলিশের অভিযানে এক জামায়াত নেতা আটক হন। আটককৃত হলেন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র সামছুল আলম(৫০)। থানা সুত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে পুলিশবাদী  হত্যা মামলা, দ্রুত বিচার মামলা ও একটি বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। সামছুল আটকের থানা পুলিশের ২২ ঘন্টা দফায় দফায় নাটকীয় দরবার শেষে মোটা অংকের বিনিময়ে তাকে ৫৪ ফোরে চালন করেন। এ নিয়ে জনমনে পুলিশের দায়ীত্ব ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা ও দ্রুত বিচার মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামী হিসেবে, পলাশবাড়ী ছাত্রদল নেতা ফরহাদ, যুবনেতা রশিদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোশারফ হোসেন বাবু, নাদিম ও সাঘাটা বিএনপির’ সাধারন সম্পাদক লাবু আটক হয়ে মাসের পর মাস কারা ভোগ করছেন। আর এজাহার ভুক্ত আসামী আটকের পর কি ভাবে ৫৪ চালান হয় এই প্রশ্ন সবার মনে।  এ ব্যাপারে থানার ওসি রেজাউল করিম পিপিএম সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

রংপুরে নকল দুই জ্বীনের বাদশা গ্রেফতার

স্বর্ণের নকল মূর্তি দিয়ে প্রতারণ সময় জ্বীনের বাদশার দুই সহযোগীকে আটক করেছেন রংপুর পুলিশ।জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় থেকে রংপুর নবাবগঞ্জ ফাঁড়ীর টিএসআই কিবরিয়াসহ সাদা পোশাকধারী কয়েক জন সঙ্গীয় ফোর্স তাদের পিছু নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে জ্বীনের বাদশার দুই সহযোগী অটো রিক্সা যোগে পালিয়েযাওয়ার চেষ্টা-কালে তাদের ধাওয়া দিয়ে রংপুর জিলা স্কুল এলাকা থেকে আটক করে। পরে তাদের রংপুর কোতয়ালী থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। ধাপ ফাঁড়ির টিএসআই কিবরিয়া জানান, গত দুদিন আগে রংপুর নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মিয়া (৫২) কে জেলার বদরগঞ্জ এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় সাড়ে ৩‘শ গ্রাম ওজনের একটি নকল স্বর্ণের মূর্তি ধরিয়ে দেয় এবং আরও ১২ লাখ টাকা দাবী করে। গতকাল দুপুরে দাবীকৃত ১২লাখ টাকা নিয়ে প্রথমে পাগলাপীরে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাকে নিয়ে যায়। বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পেরে রংপুর ধাপ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশার দুই সহযোগী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের পুত্র খায়রুল ইসলাম(২২) ও রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কিশামত মেনানগর গ্রামের বাসিন্দা নূরুল হক (২৪) কে আটক করে। পরে তাদের রংপুর কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।এ সময় জ্বীনের বাদশার সহযোগী খায়রুল ইসলাম জানান, আমি তাকে চিনি না। মিলন নামের একজন আমার ফোন নাম্বার টা নেয়। তার পরের দিন থেকে অজ্ঞাত একটি নম্বরে আমাকে দুই হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে একটি ছোট পোটলা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মাধ্যমে ধরিয়ে দেয় এবং দুলাল মিয়ার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতে বলে।

স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ভাঙন রোধের আহবান ফজলে রাব্বী এমপি’র

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ হুমকির কবলে পড়েছে। স্থানীয়রা তাদের সহায়-সম্পদ রক্ষায় নিজেদের সাধ্যমত শ্রম ও অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে। আইন ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এ কাজে যোগ দিয়ে বালুর বস্তা ফেলে স্বেচ্ছাশ্রম কাজের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন-এমপি অ্যাড. রাব্বী, এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন, চেয়ারম

আগামীতে সব দলের অংশ গ্রহণেই সুষ্ঠ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
বাণিজ্যমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে দেশে সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। তিনি বলেন, বিরোধিদল সংসদে যোগদান করেছে।  আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান হবে। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সার্কিট হাইজে দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কথাগুলো বলেন। লালমনিরহাট যাওয়ার পথে বাণিজ্যমন্ত্রী বগুড়ায় যাত্রাবিরতি করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ওমর, জেলা জাপানেতা এড. আলতাফ আলী, সামছুল আলম তালুকদার, হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু, শহিদুর রহমান মন্টু পশারী, লিযাকত আলী সরকার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুস সালাম বাবু, মামুনুর রশিদ মামুন, ফরহাদ আলী খোকন।

 

মিঠাপুকুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

মিঠাপুকুরে যৌতুকের কারনে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী রাজাদুল ইসলাম রাজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ওই ঘাতককে পায়রাবন্দ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ জানায়, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চুহড় গ্রামে ২০১২ সালের আগষ্ট মাসে যৌতুকের দাবিতে রাজাদুল ইসলাম রাজা তার স্ত্রী পারভীনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় থানায় ওই গৃহবধূর বাবা শামছুল বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ সে পলাতক ছিল। সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর থানার এসআই জিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ মাস পর রাজাকে গ্রেফতার করেন। ওসি মেয়াজ্জেম হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

 

ঘোড়াঘাটে সান ষ্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু

মঙ্গলবার দিনাজপুর ঘোড়াঘাটে প্রচন্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে সান স্ট্রোক করে শাহজাহান আলী (৫৬) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া গ্রামের শাহজাহান আলী নামের এক ব্যক্তি উপজেলা রাণীগঞ্জ বাজার রজ্জব আলীর চৌধুরীর চাতালে ধান শুকাতে দেয়। সে ধান শুকানোর কাজ করার সময় দুপুরে প্রচন্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে সান স্ট্রোক করে চাতালেই মারা যায়।  

 

নবাবগঞ্জে পৃথক ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামুরদরপুর গ্রামের তোজাম্মেল হক (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিজ ঘরে গলায়  ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ই,ডি মামলা হয়েছে। অপরদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর-ঘোড়াঘাট সড়কে নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন দলার দরগা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে একটি গম বোঝাই ট্রাক নং ঢাকা মেট্রো-ট-১১-১৭১৬ উল্টে গেলে ট্রাকের উপরে থাকা অজ্ঞাত (৫০) নামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ বলছে ট্রাকটি ঠাকুরগাও থেকে ঢাকা যাচ্ছিল এ্টুকু তারা জানতে পেরেছে।

বদরগঞ্জে চার কোটি টাকার স্বর্ণের হদিস মিলছে না

রংপুরের বদরগঞ্জে পুলিশের উদাসীনতায় চার কোটি টাকার স্বর্ণের হদিস মিলছেনা। স্বর্ণ লুটের ঘটনায় দীর্ঘদিন পর ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে লুটপাটে মুলহোতা সেই চার শ্রমিককে। এমনকি যাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে রহস্যজনক কারণে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। পুলিশের এমন ভূমিকায় ফুঁসে উঠছে এলাকার লোকজন। তারা স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।উল্লেখ্য গত ৯ এপ্রিল উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের কমল রায়ের পুকুর খনন করতে গিয়ে এলাকার শ্রমিকরা মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসা একটি কলসে রক্ষিত ৩৭টি স্বর্ণের খন্ড পান একেকটি স্বর্ণ খন্ডের ওজন ২০০ গ্রাম। মোট সাড়ে সাত কেজি স্বর্ণ যার বর্তমান বাজার মূল্য চার কোটি টাকা।এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশ তৎপর থাকলে রাষ্ট্রীয় এ সম্পদ লুটপাট করতে পারতো না দুর্বৃত্তরা। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ার পরে তারা পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা অনেকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। তাদের মধ্যে একজন মোটরসাইকেল ক্রয় করছে আর একজন জমিজমা ক্রয় করছে। তবে এতো কিছুর পরেও পুলিশের নিরব ভূমিকায় হতবাক হয়ে পড়েছেন এলাকার সচেতন মহল। তারা বলছেন রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী চুপ করে বসে রয়েছে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন পুলিশ কোটি টাকার ভাগ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। মহদীপুর এলাকার কমল মাস্টার জানান, স্বর্ণ লুটপাটকারী ওই দুর্বৃত্তদের বাঁচাতে জনপ্রতিনীধিদের হাত থাকতে পারে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, যদি পুলিশ স্বর্ণ উদ্ধার করতে না পারে, তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।তবে এ বিষয়ে পুলিশের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মামুনুর রশিদ বলেন, এ মামলার কয়েকজন আসামী আদালতে জামিন নিয়েছে। অন্যদিকে মামলাটি তদন্ত চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর বেশী কিছূ জানতে চাইলে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে হবে। অপর দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসারের বাইরে আমি কিছুই বলতে পারবো না।

সাদুল্যাপুরের দুই ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার তালিকা প্রস্তুত

সরকারিভাবে বয়স্ক ভাতা বিতরণের জন্য গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার রছুলপুর এবং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র নারী ও পুরুষদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মওলা নিজেই সরেজমিন ঘুরে এই তালিকা প্রস্তুত করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শরিফুল আলম, রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সরকার, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম নান্টু, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।

 

গোবিন্দগঞ্জে ব্র্যাকের মতবিনিময় সভা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবহেলিত নারীদের অধিকার আদায়, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠাতা ও সরকারি বেসরকারি সেবা নিশ্চিত করা লক্ষ্যে গতকাল সোমবার ব্র্যাকের পরিবর্তী জীবনের সন্ধান (পজিসন) আয়োজিত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার কোচশহরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোহিদুল ইসলাম শাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক পজিসনের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট মশিউর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি গোপাল মোহন্ত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমার বাবলু, পজিসনের কোচাশহর শাখার ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার বিএম আসমাউল হোসেনা, ফিল্ড অর্গনাইজার আব্দুল মান্নান, আব্দুল লতিফ, আফজাল ইসাহাক দুলাল, শরিফুল রেজিনা, মিনি, ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নারীদের প্রতিষ্ঠানিক সেবা নিশ্চিত করতে এবং নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে বন্ধে সমাজের সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে শিবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্বাস্থ্য এবং এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

গাইবান্ধায় আনসার ভিডিপির কমিটি গঠন
গাইবান্ধায় আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশে ১০ শতাংশ চাকরির কোটায় যাতে সদস্য-সদস্যরা চাকরিতে নিয়োগ পায় সেজন্য গতকাল মঙ্গলবার এক কমিটি গঠিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক (ভারপ্রাপ্ত জেলা এডজুট্যান্ট (অব:) সভাপতি, আনসার কমান্ডার মো: মমতাজুল ইসলাম সম্পাদক, আনসার কমান্ডার মো: জিন্না মিয়া কোষাধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন ভিডিপি দলনেত্রী রুবিনা আখতার রুবিকে মহিলা সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি স্বার্থ রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। বিভাগীয় উদ্যোগে পাশাপাশি কমিটি গাইবান্ধা বিভিন্ন নিয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে চাকরির সরকারি কোটায় নিয়োগ নিশ্চিত করবে। একই সাথে কমিটি আনসার ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের অন্যান্য কল্যাণমুখী কাজ নিরলসভাবে করে যাবে।

 

গাইবান্ধায় ৬৫৫ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির ৭২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে ৬৫৫ জন বেকার যুবক ও যুব নারী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার নিয়োগপত্র পেয়ে তারা নির্ধারিত কর্মস্থলে যোগদান করেন। তাদের আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে এই নারী-পুরুষদের চাহিদা অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হয়।নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭ জন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ১২২জন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ১২৮ জন, কৃষি-বন ও পরিবেশ দপ্তরের অধীনে ৬৮ জন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রতিমাসে চার হাজার টাকা করে নগদ ভাতা পাবেন। এছাড়া তাদের হিসাব নম্বরের অনুকুলে আরো দুই হাজার টাকা করে জমা রাখা হবে। যা সফলভাবে দুই বছর কাজ শেষে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য এককালীন প্রদান করা হবে।বেকার নারী-পুরুষদের প্রশিক্ষণসহ নিয়োগ কার্যক্রম উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস বাস্তবায়ন করে।

হকারি করে ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে যাচ্ছেন জহুরুল
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ব্র‏হ্মপুত্রের তীরেই হোসেনপুর গ্রাম। গ্রামটির বেশির ভাগ বাসিন্দা খেটে খাওয়া মানুষ। পড়াশুনা নেই বললেই চলে। কেউ খেতমজুর, কেউবা রিকশাচালক, আবার কেউবা কাজ করে মানুষের বাড়িতে। যারা কাজ পায় না, জীবিকার খোঁজে তারা ঢাকা বা সিলেটের দিকে ছোটে। নদীর ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা সেখানে লেগেই আছে। আছে ফসল না হওয়ার জ্বালা। এত সব দু:খ-দুর্দশার মধ্যে থেকেই হাটবাজারে হকারি করে ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ওই গ্রামের হকার জহুরুল ইসলাম (৫৪)। শিশুতোষ প্রস্তুক, তসবিহ্, আতর, চকলেট এবং হাস-মুগরীর বিভিন্ন রোগের প্রতিষেদক ঔষধসহ মৌসুমি পণ্য বিক্রি করেন জীবন সংগ্রামী জহুরুল। তার ৬ সদস্য বিশিষ্ট সংসারের ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি বড় ছেলে ডিগ্রী, মেঝ ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক, ছোট ছেলে সপ্তম এবং মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে যাচ্ছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনভর গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফেরি করে জহুরুল তার পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে থাকে। জহুরুলের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নইম উদ্দিন। মঙ্গলবার ফুলছড়ি হাটের থানা মোড়ে দাঁড়িয়ে হাটুরেদের দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্শনের জন্য অজ্ঞর জ্ঞানহীন জহুরুল ইসলামের কন্ঠ থেকে ভেসে এলো- বেরামী মুরগী ভালো করে, ধারায়া-ইদুঁরের মারামারি নষ্ট করল ঘরবাড়ি ঔষধ কিনেন তাড়াতাড়ি, আমার বই কিনলে এক চাঞ্চে মের্টিক পাশ। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ৩৪ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিজের জমিজমা না থাকার কারণে অন্যের জমি অথবা বাড়িতে দিনমজুরি করে যা আয় হয়েছে তা দিয়ে স্ত্রী নাছিমা খাতুনকে নিয়ে ৬ ছেলেমেয়ের সংসার চালাতেন। পরে ভগ্নীপতি বুলু মিয়ার কাছে হকারি শেখেন। গাইবান্ধার হান্নানের দোকান থেকে বিভিন্ন শিশুতোষ পুস্তকসহ অন্যন্য জিনিস ক্রয় করে হাটবাজারে এসব পণ্য বিক্রি করে প্রতিদিন ১শ থেকে দেড়শ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে জহুরুলের সংসার চালানোই কঠিন। তার পর আবার ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ।জহুরুলের স্ত্রী নাছিমা খাতুন জানান, হামরাতো নেহাপড়া জানিনা, তাই যত কষ্টই হোক ছোলগুলাকতো নেহাপড়ার শিখান নাগবে। জহুরুলের বড় ছেলে নাজির মিয়া গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ডিগ্রী সেকেন্ড ইয়ারে, একই কলেজে মেঝ ছেলে নাজমুল মিয়া উচ্চ মাধ্যমিক, কঞ্চিপাড়া একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছোট ছেলে নাইম মিয়া এবং হোসেনপুর রেজিষ্টার্ড  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে মেয়ে জবা খাতুন।ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক লুৎফুজ্জামান বলেন, গরীব ঘরের সন্তান হলেও জবা খাতুন পড়ালেখায় খুব ভালো। একটু গাইড লাইন পেলে আরও ভালো করতে পারবে। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না জানান, খুব কষ্ট করে হকার জহুরুল ইসলাম তার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।

 

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি আব্দুল জলিলের কন্যা কর্মকর্তার হাতে লাঞ্ছিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ভিসি ড. আব্দুল জলিল মিয়ার কন্যা ড. ওয়াজেদ রিসার্স ফাউন্ডেশনের রিসার্স অফিসার রোমানা ফেরদৌস জলিল মঙ্গলবার বিকেলে একই ইন্সটিটিউটের এক কর্মকর্তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ড. ওয়াজেদ রিসার্স ইন্সটিটিউটের রিসার্স অফিসার রোমানা ফেরদৌস জলিলের সাথে বিকেল দিকে অপর রিসার্স অফিসার রোকনুজ্জামানের সাথে সাবেক ভিসি ড. আব্দুল জলিল মিয়ার দুর্নীতির বিষয় নিয়ে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ে উভয়কে মারতে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে রোমানার পক্ষ নিয়ে রোকনুজ্জামানকে মারতে আসে সাবেক এই ভিসির আমলে নিয়োগ পাওয়া স্থানীয় ও বেশ কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী। এক পর্যায়ে অন্য কর্মকর্তারা রোকনুজ্জামানকে  ট্রেজারারের রুমে নিয়ে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়।রিসার্স অফিসার রোমানা ফেরদৌস জলিল জানান, অযাচিতভাবে আমার পিতাকে নিয়ে রোকনুজ্জামান আমার সাথে ঝগড়া বাঁধায় এবং লাঞ্ছিত করে।অপরদিকে রিসার্স অফিসার রোকনুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন। তাকে নিয়ে কোন ধরনের কটূক্তি আমি করিনি। রোমানা উদ্দেশ্য প্রণোতিদভাবে আমাকে হেয় করার জন্য নিজেই আমাকে গালিগালাজ করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান,  ঘটনাটি সমঝোতার চেষ্টা চলছে।

ফাটল নিয়ে চলছে তদন্ত তদন্ত খেলা
রংপুরের কাউনিয়ায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দু:স্থ এতিম প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ছাবেরা খাতুন ইসলামিয়া শিশু সদনের তিনটি ভবনে ভয়াবহ ফাটল এবং নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়মের ঘটনায় চলছে তদন্ত তদন্ত খেলা। এনিয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রথম দফায় তদন্ত টিম গঠিত হলেও সেই তদন্ত রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি। উপরন্তু দুর্নীতি-চক্র প্রথম দফা তদন্ত টিমের ২ কর্মকর্তাকে বদলি করিয়েছে। আর ওই তদন্তের প্রধান কর্মকর্তাকে বদলীর জোড় চেষ্টা করছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় এলজিইডি’র উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম তদন্ত করে গেলেও সেটির রিপোর্টও আলোর মুখ দেখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এ বিষয়ে সমাজসেবার মহাপরিচালককে ৭ দিনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিলেও এক মাস পার হলেও জমা হয়নি সেই তদন্ত রিপোর্ট। সব মিলে তদন্ত তদন্ত খেলায় বিল্ডিং তিনটি নির্মাণের শুভঙ্করের ফাঁকি বজায় রেখেই এতিমদের ভয়াবহ জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়ার অপেচষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অনুসন্ধানে প্রকাশ, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বল্লভ বিশু গ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত এই শিশু সদন নির্মাণের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে অর্থায়নে এলজিইডির তত্বাবধায়নে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ টাকা ব্যায়ে ২ টি ৫ তলার ডরমেটরী এবং ১ টি ৪ তলার স্কুল কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের মে মাসে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিল্ডিং ৩ টি হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু বিল্ডিং নির্মাণ কাজে এলজিইডির রংপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের যোগসাজশে এসও আমিনুল ইসলাম ও বশির উদ্দিন এবং ঠিকাদারি ৩ টি প্রতিষ্ঠান এতিমদের লালন-পালন সদনটির ভবন নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি করে। শিডিউলের বাইরে দৈর্ঘ্যে ৩ ফিট ও প্রস্থে ২ ফিট ৬ ইঞ্চি ছোট করে বিল্ডিং নির্মাণ, গ্রেট বিম ও পিলারে ২০ মিলি রডের ডায়ার পরিবর্তে ১৮ মিলি রড এবং ছাদের ঢালাই সার্টারে ১০ মিলি রডের পরিবর্তে ৮ মিলি রড দেয়া হয়। দরজা জানালার ফ্রেমে সিলকড়ই অথবা চাপালিশা এবং পাল্লায় চিটাগাং টেক কাঠ দেয়ার থাকলেও তা অসার মাল্লা কাঠে তৈরির পর প্রাইম কোড দিয়ে রঙ্গিন করে লাগানো, সিঁড়ির হাতলে চিটাগাং টেক কাঠের পরিবর্তে অসার ও কাচা মেহগনি কাঠ দেয়া হয়। কলাপসিবল গেট এবং দরজা জানালার গ্রীল শিডিউল বহির্ভূত এঙ্গেল রড দেয়া এবং রেড অক্সাইড না দেয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়াও ২ নম্বর ইট, নিম্নমানের সিমেন্ট, ডালিয়ার বালির পরিবর্তে পুকুরের নিম্নমানের বালি, সিমেন্টের পরিমাণ কম দিয়ে বালির পরিমাণ বেশী দেয়া এবং কিউরিং করা হয় নি। পানি সরবরাহের জন্য ৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের আজিজ ন্যাশনাল পাইপের পরিবর্তে ৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের নিম্নমানের আনোয়ার পাইপ লাগানো হয়। জিইসি ডিলাক্স ফ্যানের পরিবর্তে টঙ্গির নিম্নমানের ন্যাশনাল ফ্যান, নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী, বেসিন, টিউব-লাইট, সোলার সিস্টেমে অনিয়ম করা হয়। ফলে বিল্ডিংটির ভেতরে এবং বাইরে পুরো শরীরে ভয়াবহ ফাটল ধরে। দরজা জানালা পচে যায়। পলেস্তারা খসে যায়।এসব অনিয়মের বিষয় জানিয়ে সদন কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, এলজিইডি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করে। এছাড়াও ভবনটির অনিয়ম নিয়ে পত্র  পত্রিকা  ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশের প্রেক্ষিতে এলজিইডি মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে। তদন্ত কমিটির প্রধান এলজিইডির রংপুর অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান গতবছর  প্রথম দফা ১৭ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ ই অক্টোবর দিনভর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে আবারও তদন্তে যাবেন বলে সদনের সাধারণ সম্পাদককে জানান।  কিন্তু এই তদন্ত কমিটি আর ঘটনাস্থলে যান নি। রিপোর্টও দেয় নি। রিপোর্ট দেয়ার আগেই এলজিইডি ফাইনাল বিল দেয় ঠিকাদারদের। শুধু তাই নয়, এই তদন্ত কমিটি যাতে রিপোর্ট না দিতে পারে সেজন্য জড়িত দুর্নীতি চক্রটি তদন্ত টিমের দুই কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে মোটা অংকের টাকার দেনদরবার বদলী করে দেন। অপরদিকে  প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুজ্জামানকেও বদলীর জোড় তদবির চালাচ্ছে দুর্নীতি সিন্ডিকেটটি।এভাবে তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে রেখে বিল্ডিংটি হস্তান্তরের জন্য এলজিইডি চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সদন প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দেয়। চিঠি পেয়ে সদন কর্তৃপক্ষ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঠিকাদারদের নিয়ে এতিম ও এলাকাবাসীর সাথে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং মেজবানের আয়োজন করে। ওইদিন বেলা ২ টায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ, প্রকল্প পরিচালক ও সমাজ সেবার ডিডি হারুণ-অর-রশিদ, কাউনিয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, এসও বশির আহমেদ, আমিনুল ইসলাম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মচারীরা সদনে উপস্থিত হয়ে এতিমদের সাথে দুপুরের খাবার খান। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী বিল্ডিং ৩ টি পরিদর্শন শেষে ভয়াবহ ফাটলের চিত্র দেখে বিল্ডিংটি হস্তান্তর না করেই ফিরে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর মোটর সাইকেল যোগে কাউনিয়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান ও এসও বশির আহমেদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ও এতিমরা তাকে ঘিরে রাখেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে সদনের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন। এনিয়ে গত ১ মে আবারও পত্র পত্রিকা ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে গত ৭ মে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (স্মারক নং- এলজিইডি/সিই/ই-১০৬/২০০০/৩৪১৫) একটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিতীয় দফায় তদন্ত টিম গঠন করে। কমিটির আহবায়ক এলজিইডি সদর দপ্তরের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আনোয়ার উদ্দিন অপর দুই সদস্য বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী(প্রেষণে) সৈয়দ আহমদ আলী এবং উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী(প্রেষণে) মোঃ ফরিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে গত ২৫ মে কাউনিয়ায় বিল্ডিং ৩ টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শণকালে বিল্ডিংয়ের বর্তমান চিত্রের সাথে উপস্থাপিত অভিযোগের প্রতিটি বিষয় খুঁটিনাটি ও পরীক্ষা করেন ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সেখানে উপস্থিত এলজিইডির রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মজিবর রহমানকে বিল্ডিংয়ের ফাটল, দরজা জানালা, ফ্যান, সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য কাজগুলো ঠিক করার নির্দেশ দেন। তবে তদন্তের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল পর্যন্ত ওই কমিটিও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় নি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার তদন্ত কমিটিকেও ম্যানেজ করে রিপোর্ট ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে জড়িত দূর্নীতিচক্রটি। এজন্য তাদের সাথে দেন দরবার অব্যাহত রয়েছে। এলজিইডির রংপুর অফিসের একটি সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ করানো হচ্ছে। তবে এখনও শতভাগ সফল হয় নি তারা।দ্বিতীয় দফা তদন্ত টিমের প্রধান এলজিইডির ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আনোয়ার উদ্দিন খান জানান, ‘ তদন্ত সঠিকভাবে করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সঠিক তদন্ত রিপোর্টই জমা দেয়া হবে। কোন তদবির আমাদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে পারবে না।’মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পত্র পত্রিকার সংবাদের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ গত ২ মে স্মারক নং ৪১.০০.০০০০.০৫৬.০২.১৩.০২৭..১২-৩৮৮ এর মাধ্যমে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ টি দপ্তরে ৭ দিনের মধ্যে ভবনের ফাটল ও নির্মাণে দুর্নীতির বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা  ও উন্নয়ন শাখা-২ এর  সহকারী প্রধান পল্লব হাজরা স্বাক্ষরিত ওই চিঠি দেয়ার ৩৩ দিন পরেও এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কোন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় নি সমাজসেবা অধিদপ্তর। বরং মন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও চলছে তোলপাড়। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি চক্রের ম্যানেজ মিশনের হাত সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে প্রকল্প পরিচালক ও রংপুর সমাজসেবার ডিডি হারুণ অর রশিদ জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। ৭ দিন কম সময় হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’এদিকে সমাজসেবার তদন্ত কার্যক্রমকেও প্রভাবিত করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা বিভিন্ন ধরনের চাপ ও তদবির করছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে ঠিকাদার ও নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকিও দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য টেন্ডারের মাধ্যমে ১ নং বিল্ডিংটি গাইবান্ধার সাইদুর রহমান, দ্বিতীয় বিল্ডিংটি রাজশাহীর বালিয়াপুকুর ঘোড়ামারা এলাকার আলম কনস্ট্রাকশন এবং তৃতীয় বিল্ডিংটির ওয়ার্ক অর্ডার পায় রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার লাবু আহমেদ কার্যাদেশ পান। কিন্তু সাইদুর রহমান নিজে কাজটি করলেও আলম কনস্টাকশন কাউনিয়ার মুন্না শফি এবং লাবু আহমেদ কাজটি লালমনিরহাটের জাহিনুরের কাছে বিক্রি করে দেন।

 

রংপুর অঞ্চলের মানুষদের প্রত্যাশার শেষনেই

রংপুরের পুত্রবধূ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে ৩য় বারের মত রংপুরে আসছেন। চলতি মাসের ৩য় সপ্তাহে তিনি আসবেন বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং জেলা প্রশাসনের অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার আগমনকে ঘিরে এরই মধ্যে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব কষছেন রংপুর অঞ্চলের মানুষ। রংপুরের সুধিজন মনে করছেন তিনি এবার রংপুরে আসলে গ্যাস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইনাল করবেন। এর আগে তিনি সরকারের প্রথম দিকে রংপুরের জিলা স্কুল মাঠের এক জনসভায় গ্যাসের বিষয়টি বিবেচনাধীন রেখেছিলেন।জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ওই জনসভায় মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং তার স্ত্রী রংপুর সদর আসনের সাংসদ বেগম রওশন এরশাদও বক্তব্য রাখেন। রংপুরের পুত্রবধূ হিসেবে এ অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য এরশাদের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এ অঞ্চলের মানুষের মূল দাবি গ্যাস। দেশে এখনও গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। যখনই গ্যাস পাওয়া যাবে, তখনই রংপুরের শিল্প-কারখানার জন্য গ্যাস সরবরাহের পদক্ষেপ নেয়া হবে।তিনি আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই রংপুরকে বিভাগ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। রংপুরের সার্বিক উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিস করা হয়েছে। এ সময় বিভাগীয় শহর হিসেবে রংপুরকে সিটি করপোরেশনে উন্নীতকরণ, মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন, আন্ত:নগর ট্রেন চালুসহ রেল যোগোযোগ সম্প্রসারণ, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন, স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন, সুইমিং পুল ও মহিলা স্টেডিয়াম নির্মাণ, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়ন, গাইবান্ধার বালাসী ঘাট সেতু নির্মাণ এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি ও বার্ন ইউনিট খোলার আশ্বাসসহ ১২টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সরকারের সময় শেষ হলেও এখনও রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ, রেল যোগোযোগ সম্প্রসারণ, কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন, স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন, সুইমিং পুল ও মহিলা স্টেডিয়াম নির্মাণ, গাইবান্ধার বালাসী ঘাট সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।  এসব বিষয় ছাড়াও রংপুরে গ্যাস এবং বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয় মহাজোট সরকারের আমলে শুরু হবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ করেছেন উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধুকন্যা রংপুরের পুত্রবধু শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বাসরাখবেন, আস্থা রাখবেন। রংপুরের উন্নয়নে সব কাজ আমরা করব।’রংপুরের প্রবীন সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম বাবলা বলেন, আমরা শুধু আশা নয়, বিশ্বাস এবং ভরসা রাখছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে মডেল করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা তিনি নিজের হাতেই করবেন। তবে আমরা একটুকু আশা করছি, এবার তিনি রংপুরে আসলে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাওয়া রংপুরে গ্যাস এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খালাশপীরের কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলণের বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।

পরিবহন শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে রংপুর-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ

পরিবহন শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফির গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুর থেকে ঢাকায় কোন বাস ছেড়ে আসেনি এবং ঢাকা থেকেও কোন বাস রংপুরে যায়নি। তবে অন্যান্য রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এ এ মজিদ জানান, গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টিআর ট্রাভেলসের চালক ও সুপারভাইজারকে মারপিট করেন শাফি। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শাফির গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে রংপুর-ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার ব্যবস্থাপকরা জরুরি সভা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।টিআর ট্রাভেলস কাউন্টারের ব্যবস্থাপক ফজলুল বারি প্রধান মিঠু জানান, গত শনিবার রাতে টিআর ট্রাভেলসের একটি কোচ ঢাকা থেকে রংপুর আসছিল। পথে বগুড়া থেকে ওই গাড়িতে উঠেন সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাফি। সুপারভাইজার তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি নিজেকে কাউন্সিলর পরিচয় দেন এবং ভাড়া না দেয়ার কথা বলেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বাসটি রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে পৌঁছলে শাফি সেখানে নেমে একদল যুবক নিয়ে চালক ও সুপারভাইজারকে মারপিট করেন। ফজলুল বারি প্রধান মিঠু বলেন, শাফিকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কোচ চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর শাফিকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন চালক আব্দুল কুদ্দুস ও সুপারভাইজার আব্দুল লতিফ।সুপারভাইজার আব্দুল লতিফ  জানান, শাফি নিজেকে কাউন্সিলর পরিচয় দেয়ায় তার কাছ থেকে ২০০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা ভাড়া চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো ভাড়াই দেবেন না বলে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। কোতয়ালী থানার ওসি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন খলিফা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাধায়ক সরকারের দাবীতে গণসংযোগ

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাধায়ক সরকার সংবিধানে পুনঃস্থাপনের দাবীসহ বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের দেশব্যাপী হামলা, মামলা, খুন, গুম, দুনীতি, লুটপাট, দুশাসন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরনের চিত্র তুলে ধরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের হাটবাজারসহ গ্রামগঞ্জে ব্যাপক গনসংযোগ করলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গাইবান্ধা জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। গনসংযোগ কালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, কামদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলম সরকার,সাধারন সম্পাদক এমরান চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক চৌধুরী, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দিদারুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক ছামছুল ইসলাম,দরবস্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, রাখালবুরুজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিপুল চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক তছলিম উদ্দিন, শিবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, থানা বিএনপি সদস্য সাবেক পুলিশ কর্মকতা রাহেনুল ইসলাম, থানা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, সিনিয়র সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল,সাধারন সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ শাহ আলম, সাধারন সম্পাদক রিপন,পৌর যুবদলের সভাপতি ময়েন উদ্দিন লিপন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহিদুর রহমান রানক প্রমুখ।গত ৩১-০৫-১৩ থেকে ১নং কামদিয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে আজ ০৪-০৬-১৩ মঙ্গলবার মহিমাগঞ্জ,কোচাশহর ও কামারদহ ইউনিয়নে গনসংযোগ শেষ করেন।

 

 

পলাশবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ১

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী বৃদ্ধ আঃ করিম (৬৫) নিহত ও মোটরসাইকেল চালক মতলুবর (৩২) কে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে মাঠের বাজার নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুরের খোর্দ্দ কোমরপুরের মতলুর মোটরসাইকেল চালিয়ে গাইবান্ধা অভিমুখে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার বেতকাপা ইউপি’র বউলেরপাড়া গ্রামের আঃ করিম রাস্তা পারাপারের প্রাক্কালে চলন্ত মোটরসাইকেলের সাথে সজোরে ধাক্কায় সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে আঃ করিম মারা যায়। অপরদিকে, আহত মোটরসাইকেল চালক মতলুবরকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।