গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় হরতালের আওতামুক্ত

গাইবান্ধা প্রতিনিধির সকল সংবাদ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় সোমবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে জামায়াত। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাড. শাহ্ জাহাঙ্গীর কবিরের (৭৮) মৃত্যুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করে নেন। গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল করিম জানান, অ্যাড. শাহ্ জাহাঙ্গীর কবিরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পৌর এলাকায় হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম স্পীকার শাহ্ আব্দুল হামিদের ছেলে অ্যাড. শাহ্ জাহাঙ্গীর কবির (৭৮) গত রবিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই আওয়ামী লীগ নেতা  গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

 

বর্জ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মন্ডল মিয়া (৩০)নামের ১ ব্যক্তি  বর্জ্রপাতে আজ সকালে মারা গেছে। মন্ডল মিয়া আজ সোমবার সকালে বৃস্টির মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে জমিতে কাজ করতে গেলে সেখানে বর্জ্রপাতে তিনি মারা যান।

 

 

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে একটি হত্যা মামলাকে প্রতিহত করতে একটি পক্ষ তার নিজ রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তাদের যানমাল নিরাপত্তাসহ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। গত ৬ জুন উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে একটি আম বাগানের দখলকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে এক পক্ষের ভেলাইন গ্রামের আজহার আলী প্রধানের পুত্র মুরশিদুল আলম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানায় ৩৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। এ ঘটনার পর পর সংবাদটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত লোকের সমাগম ঘটে। এক পর্যায়ে কতিপয় হত্যাকারী পাশে মারিয়ামপুর ক্যাথলিক মিশনে শাখা রঘুনাথপুরে অবস্থিত যিশু ধ্যান চার্চে লুকায়। এ সংবাদ জানতে পেরে কিছু জনতা ওই যিশু ধ্যান চার্চে প্রবেশ করার চেষ্টা করে আসামীদের ধরতে। কিন্তু সেখানে পুলিশের বাধার মুখে জনতা প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। এরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উত্তেজিত জনতা কিছু আদিবাসী পাড়ায় প্রবেশ করে গরু ছাগল লুট করে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় জনতা আটক করে জিম্মায় রাখে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা বেগম সিদ্দীকা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুট হয়ে যাওয়া ২৮টি গরুর মধ্যে ২২টি গরু জিম্মাদারের নিকট থেকে গরুর মালিকের নিকট দিয়ে দেয়। পুলিশ সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ও ওই চার্চেরসহ আশপাশ ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার যিশু ধ্যান চার্চের পক্ষ থেকে একটি মামলা দেয়া হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৩০বছর ধরে তাদের চার্চে হামলা করার জন্য প্রতিপক্ষরা চেষ্টা করে আসছে। অপর দিকে শনিবার রাত ১টার দিকে রঘুনাথপুর গ্রামে নিকোলাস এর রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ হয়। নিকোলাস ওই হত্যা মামলার ১নং আসামি। সে জেলহাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, নিকোলাসের বসতবাড়ী উত্তর দক্ষিণ লম্বা একটি প্রাচীরের সাথে একটি খড়ের চালি ছিল। ওখানে রান্না করা হত। খড়ের চালির উত্তরে পূর্ব পশ্চিম লম্বা নিকোলাসের শয়ন ঘর। অগ্নিসংযোগে শুধুমাত্র খড়ের চালিটি পুড়ে গেলেও শয়ন ঘরের কোন অংশে অগ্নিসংযোগ হয়নি। ফলে এলাকাবাসী মনে করছে ওই হত্যা মামলা প্রতিহত করতেই যিশু ধ্যান চার্চে হামলা, মামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলা করছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব একটি নিছক ঘটনা। ওসি জানান, সোমবার ভাটিক্যান রাষ্ট্রদূত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে তিনি অবগত হয়েছেন।

 

নারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা

রংপুর পল্লীশ্রী ইউনিটের আয়োজনে গতকাল দুপুরে রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদ হল রুমে নারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন পল্লীশ্রী রংপুর ইউনিটের প্রোগ্রাম ফ্যাসিলেটেটর রেজাউল করিম। মতবিনিময়ে অংশ নেন, জেলা চেঞ্জ মেকার সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব রবু, ফিল্ড টেইনার নার্গিস বেগম, সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ, আফজাল হোসেন প্রমূখ। সভাপতিত্বে করেন জেলা চেঞ্জ মেকার সমিতির সদস্য সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম।সভায়, আগামী ১৯ জুন সকাল ১০টায় স্থানীয় টাউন হলে জেলা চেঞ্জ মেকার সমিতি ও পল্লীশ্রী রংপুর ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে এ্যাসেম্বলী করার ঘোষণা দেয়া হয়।

 

লেখক সংসদ রংপুর-এর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

লেখক সংসদ রংপুর-এর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  রোববার নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে কেককাটা, গুণীজন সংবর্ধনা, সনদ বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংসকৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লেখক মতিউর রহমান বস্নীয়া কাব্যনিধির সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক ও বিশিষ্ঠ ছড়াকার রফিকুল ইসরাম দাদুভাই। বক্তব্য রাখেন সংসদের সাধারন সম্পাদক খন্দকার সাইদুল রহমান, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক জোসেফ আখতার, লেখক মীর আনিসুল হক পেয়ারা, আবুল কাশেম, আব্দুল হালিম খসরু, মোনালিসা রহমান ওরাকিব ইল হাসান এলেন।অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবু ছালেহ ও স্থানীয় ইতিহাস গবেষক আব্দুল আজিজকে সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ১০ জন বিশিষ্ঠ লেখককে সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়।পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংসকৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

 

দাদন সম্রাট জুয়েলের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

গাইবান্ধা পৌর শহরের হকার্স মার্কেটের দাদন সম্রাট বলে খ্যাত জুয়েলের সুদের কারবারে জড়িয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। একাধিক দায়িত্বশীল সুত্র ও ভূক্তভোগী মহল জানায়, হকার্স মার্কেটে একটি রুম ভাড়া নিয়ে অফিস বানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সুদের কারবার করে জনৈক জুয়েল। বর্তমানে সে প্রায় অর্ধ কোটির বেশী টাকা সুদের কারবারে লগ্নি করেছে। ওই মার্কেটের  সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অভাবের কারণে পড়ে অনেকেই সুদের উপর টাকা নিতে আসে জুয়েলের কাছে। কেউ তার কাছে টাকা নিলে  মাসে  হাজার প্রতি ১শ ৫০ থেকে ২শ টাকা সুদ দিতে হয়। সুদ দিতে বিলম্ব হলে চক্রাহারে বৃদ্ধি পায় সুদের অংক। আবার অনেকের কাছে ৩শ টাকা নন জুডিশিয়াল স্টাম্প এবং স্বাক্ষর করা সাদা চেকের পাতা জমা রাখতে হয়। কেউ সময়মত সুদের টাকা দিতে না পারলে হকার্স মার্কেটের জুয়েলের অফিসে তাকে এনে চালানো হয় মানুষিক র্নির্যাতন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে হকার্স মার্কেটের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, অভাবের কারণে তার কাছে সুদের উপর টাকা নিয়েছি। আসল পরিশোধ করতে গেলে সে আসল না নিয়ে আগে সুদের অংকটাই কেটে নেয়। কিছু বলতে গেলে স্বক্ষর কারা সাদা স্টাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। সুদের কারবারি জুয়েলের রয়েছে একটি  সন্দ্রাসী বাহিনী। কেউ জুয়েলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ওই বাহিনী তাদের জীবন নাশসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে বলে একাধিক অভিযোগকারী জানান।এ ব্যাপারে দাদন ব্যবসায়ী জুয়েলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি সমিতির মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে ঋন প্রদান করে থকি। তার সমিতির কোন রেজিষ্ট্রেশন আছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

 

রানী দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির

গাইবান্ধা সাদুল্যাপুর উপজেলার বকসীগঞ্জ রানী দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম অচল অবস্থা বিরাজ করছে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাব, শিক্ষা উপকরণ সংকট ছাড়াও প্রধান শিক্ষক বোরহান আলীর নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, বিগত ১৯৮৮ইং সালের পয়লা জানুয়ারি বকসীগঞ্জ রানী দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পায় বোরহান আলী। এলাকায় কোনও বালিকা বিদ্যালয় না থাকায় প্রচুর শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ঘটে ওই বিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠাতা গেলনা আকন্দের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ ও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের এ সমস্ত অবৈধ অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও তার লোকজনের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষ, মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থায় মারাত্মক ধস নামে এবং  প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়ে বিদ্যালয়টি।সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক ও খ শাখায় ১শ’ ৭ম শ্রেণির ক ও খ শাখায় ১শ’ ও ৮ম শ্রেণীতে ক ও খ শাখায় ১শ’ শিক্ষার্থীসহ মোট ৩শ’ শিক্ষার্থী থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। এ ২৮ জনের উপস্থিতিও আশানুরূপ নয়। অথচ ৪০ জন শিক্ষার্থীর নামে উত্তোলন করা হয় উপবৃত্তি। মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত ১৪ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী। এরমধ্যে অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে বাজারে চায়ের দোকানে রাজনৈতিক আলাপচারিতায় মগ্ন থাকেন। আবার অনেকেই অনুপস্থিত থেকেও মাসের হিসাব গুণে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন গোটা মাসের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২৬ বছরেও বিদ্যালয়ে ঝুলানো হয়নি সাইনবোর্ড। সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এছাড়া শিক্ষার্থী সংকট মোচনে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে দেয়া হয় জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা।

 

সূত্র আরও জানায়, বিদ্যালয়ে দরজা, জানালা, প্রাচীর, চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ নেই বললেই চলে। এদিকে আসবাবপত্র ও বিদ্যালয় সংস্কার কাজের জন্য গত অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদের টিআর প্রকল্পের দেড় মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের কাজ না করে তা পকেটস্থ করেন প্রধান শিক্ষক বোরহান আলী। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূত ভাবে গত ২৮ মে জমি লিখে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান পদে গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন আপন ভাগিনা সাইদার রহমানকে। এ ঘটনা প্রকাশ হবার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোনও প্রতিষ্ঠানই নিয়ম-মাফিক চলে না। কম বেশি অনিয়ম থাকবেই। এ প্রতিষ্ঠানেও একটু আধটু আছে।

 

প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্লাশ বর্জন

রংপুরের পীরগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন শুরু করেছে। রোববার উপজেলার বড়আলমপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই ক্লাশ বর্জন শুরু হয়েছে।বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের সন্যাসীর বাজার এলাকার বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অবহেলিত ওই এলাকার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষ্যে  বিগত ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, সরকারী বিধি বিধানকে উপেক্ষা করে অতিরিক্তি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে নেয়া লাখ-লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি একটি আঞ্চলিক ও একটি জাতীয় পত্রিকায় পেছনের তারিখ ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে ২ জন শিক্ষককে অবৈধ পন্থায় গোপনে নিয়োগ প্রদান করেন।গত বছরের নভেম্বর মাসের এমপিওতে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া ওই ২ শিক্ষকের নাম এমপিও ভুক্ত হলে গোপনে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। এ দিকে আবারও ১ জন শিক্ষককে একই পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে রোববার থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন শুরু করেছে। শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বকুল মিয়া, মৌলভী শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন-সরকারী বিধি বিধানকে উপেক্ষা করে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ জনবল কাঠামোর অতিরিক্ত শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে সকল শিক্ষকের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে প্রধান শিক্ষকের এহেন অনিয়মের প্রতিবাদে আমরা  আজ (রোববার) থেকে ক্লাশ বর্জন আন্দোলন শুরু করেছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত ক্লাশ বর্জন অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থী ফৌজিয়া ও সাকিল জানায়-প্রধান শিক্ষক বারবার অনিয়ম করার কারনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এত করে আমাদের লেখা পড়া মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। অভিভাবক বদিউজ্জামান ও আব্দুল মোমিন বলেন-আমরা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য। প্রধান শিক্ষককে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্য করার জন্য নয়। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবী করছি।বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে বিধি বর্হিভুতভাবে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে ১৯ জন। এমপিও ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩ জন। জনবল কাঠামো অনুযায়ী একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী থাকার কথা মাত্র ৯ জন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেনের মুঠো ফোন ০১৭৬৪-৯৫৩৩৫৯ তে কথা হলে তিনি জানান’ আমি নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নিত করার আবেদন করেছি। সে মোতাবেক আমি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিও ভূক্তির আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ এমপিও ভূক্ত করে দিয়েছেন। এখানে আমার দোষের কিছু নেই। যে কারনে ক্লাস বর্জন চলছে খুব শীঘ্রই তা সমাধান হবে।

 

বিউবির অনাদায়ী ১৩৮ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ বিভাগের অধীনে ৫টি ফিডারের অন্তর্ভূক্ত ১ কোটি ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯শ ২৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার দায়ে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন গ্রাহকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আওতায় গাইবান্ধা- পূর্ব, পশ্চিম, লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও সাঘাটা ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যুৎ সেবা নিতে অনেক গ্রাহকই আবাসিক ও অনাবাসিক বিদ্যুৎ বিল দীর্ঘদিন যাবৎ পরিশোধ করেননি। ফলে বিউবি কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্নসহ মামলা দায়েরের কার্যক্রম শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন ১৩ তারিখ পর্যন্ত উল্লেখিত বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে রংপুর বিদ্যুৎ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বকেয়া বিল আদায়ের লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

প্রতিবন্ধী ফিরোজ কবির মৌলভী হতে চায়

বিচিত্র প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল। তার মহিমা বুঝতে পারে এমন কে আছে এ পৃথিবীতে। এ পৃথিবী যে তারই ইশারায় চলে- তার দৃষ্টান্ত প্রতিবন্ধী ফিরোজ কবির। তার দুটি হাত নেই বললেই চলে। তবু থেমে নেই তার জীবনযাত্রা। মেধাবী ছাত্র। বয়স ১৪ বছর। লেখাপড়াতেও অন্য ছাত্রের চেয়ে মোটামুটি ভাল। তাকে দেখলে যে কারোই চোখে জল এসে যাবে। প্রতিবন্ধী এ ফিরোজ কবিরের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সমস কুটিপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম ইউনুছ আলী। বাবা বেঁচে নেই। মায়ের নাম মোছা. ফেরেজা বেগম। স¤প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের মুর্শিদের বাজারে প্রতিবন্ধী এ ফিরোজ কবিরের সাথে কথা হয়। সে মুর্শিদের বাজারে বাজার করতে এসেছে। তার জীবনযাত্রার কথা শুনলে যে কেউই আশ্চর্য হবে। প্রতিবন্ধী ফিরোজ কবিরের দুটি হাতের শুধু গোড়ার অংশটুকু রয়েছে। তারপরও ওই অংশটুকু দিয়েই সকল প্রকারের কাজ করতে পারে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। বড় ভাই বিয়ে করে পৃথকভাবে সংসার করছে। মাত্র ২৫ শতাংশ জমিই তাদের একমাত্র অবলম্বন। সে একই উপজেলাস্থ মাঠেরহাট আলহিরা দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে। সে এখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার ক্লাশের ৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তার রোল চার হয়েছে।প্রতিবন্ধী ফিরোজ কবির আরো জানায়, সে অনেক বড় মৌলভী হতে চায়। তার এখনও প্রতিবন্ধী কার্ড হয়নি। এলাকার কে যেন তাকে বলেছে- এখনই প্রতিবন্ধী কার্ডের দরকার নেই। তাই সে এখনও প্রতিবন্ধীর কার্ড করেনি। সে পা দিয়ে টিউবওয়েল চাপিয়ে গোসল করে। হাত দিয়ে কলম ধরা, মোবাইল করাসহ যাবতীয় কাজ অনায়াসে করতে পারে। হাতের লেখাও খুব সুন্দর। টেবিলের উপর প্লেট রেখে হাত দিয়েই ভাত খেতে পারে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী এ ফিরোজ কবিরের সংসারে গর্ভধারিনী মা একমাত্র অবলম্বন।

 

ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় কলেজ শিক্ষক আটক

দিনাজপুরের বিরামপুর মহিলা কলেজের এক শিক্ষককে তার ছাত্রীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে আজ ৯ জুন দুপুরে আলহাজ সমসের শাহর বাড়ী থেকে আটক করা হয়েছে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মশিহুর রহমান দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা খাতুন (১৮)কে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি বিষয়টি নিয়ে তার কয়েকজন ব›ন্ধুর সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরিকল্পনা করে যে কিভাবে শিক্ষককে শায়েস্তা করা যেতে পারে। এদিকে শিক্ষক মশিহুর রহমান মেয়েটিকে মোবাইলে হাজী মার্কেটের দক্ষিণে তার আত্বীয় আলহাজ সমসের শাহর বাড়ীতে ডেকে নেয়। এ ঘটনায় টের পেয়ে মেয়েটির বন্ধুরা ও স্থানীয় লোকজন তাদের হাতে-নাতে আটক করে মারপিট করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উভয়কে থানায় নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় কোন শুরাহা না হওয়ায় এডিশনাল এসপি গোলাম আজাদের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মোছা: রোখছানা বেগমের নিকট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে রায় প্রদানে প্রেরণ করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মোছা: রোখছানা বেগম এবি নিউজকে জানান,এ মামলা ভ্রাম্যমান আদালতের আওতাভুক্ত নয়।এ বিষয়ে কলেজ প্রেন্সিপাল শিশির কুমার সরকার জানান, কলেজে এক জররী মিটিংয়ের মাধ্যমে রেজুলেশন করে তাকে সাময়িকভাবে পাঠদান থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে মুচলেকা নিয়ে আপোস মিমাংশার প্রক্রিয়া চলছে, বাদী মামলা না করলে আমার কি করার আছে?

 

সাবেক এমপি শাহ জাহাঙ্গীরের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদের দ্বিতীয় পুত্র গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ জাহাঙ্গীর কবীর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে..রাজেউন)। রোববার রাত ৮টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়েছে।অ্যাডভোটেক শাহ জাহাঙ্গীর গাইবান্ধা শহরের ডেভিট কোং পাড়ার বাসিন্দা। তিনি গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সভাপতি।পরিবার সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।

 

 

সাংবাদিক আইয়ুব হোসেনের ইন্তেকাল

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার  মানবাধিকার কমিশনের  সভাপতি এবং দৈনিক করতোয়ার ফুলছড়ি প্রতিনিধি আইয়ুব হোসেন (৬০) ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। গত কাল সোমবার সকালে ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযা নামাজ শেষে উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে। এদিকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন গাইবান্ধায় মানবাধিকার কমিশন সকল সদস্য বৃন্দ।

 

 

গাইবান্ধায় জাসদের বিক্ষোভ মিছিল

তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাসভবনে ককটেল বিষ্ফোরনের প্রতিবাদে আজ রাতে  গাইবান্ধায় জেলা জাসদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২ নং রেল গেট থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ১ নং ট্রাফিক মোড়ে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন – জেলা জাসদের সহ  সভাপতি নুরূজ্জামান প্রধান , সহ সভাপতি সেলিকুজ্জামান রুবেল , সাধারন সম্পাদক গোলাম মারুফ মোনা ,সাংগাঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জনি , জাসদ নেতা অধ্যক্ষ মোজাহিদ সহ ছাত্রলীগ , যুব ও শ্রমিক ফ্রন্টের নের্তৃবৃন্দ । বক্তরা  এ হামলার জন্য জামায়ত শিবিরকে দায়ী করে অবিলম্বে জামাত শিবিরের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানান।