জোবারপাড় এন্টারপ্রাইজ। ৮ জন স্টাফ সহ নিয়োমিত ৫০জন নিয়মিত দুঃস্থ ও অনিয়মিত ৩০জন নারী এখানে কর্মরত আছে। ডোবা, মজাপুকুর থেকে কচুরীপানা সংগ্রহ করে কাগজ তৈরি করে সেই কাগজ দিয়ে পুতুলবক্স খেলনা সামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় সৌখিন সামগ্রী তৈরি করা হয়। এসব সামগ্রী বেশিরভাগই বিদেশে রপ্তানী করা হয়। রপ্তানীকারক দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, জাপান, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড সহ ১০টি দেশে রপ্তানী করছে। এ প্রকল্পে ১ জন মহিলা ৮ ঘন্টা পরিশ্রম করে মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এতে একদিকে যেমন তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন তেমনি অন্যদিকে দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। এ প্রকল্প থেকে বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার পণ্য বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। কেয়াপাম হ্যান্ডিক্রাফট ১৯৮৭ সালে এমসিসি থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গড়ে তোলা হয়। মাত্র ১৫ জন সদস্যের উদ্যোগে ৫৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৭ জন স্টাফ সহ নিয়মিত ৯৫ জন মহিলা কাজ করছেন। এ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে তালপাতা মুলিবাঁশ, কেয়াপাতা ইত্যাদি। ওই প্রতিষ্ঠানে ১৫০টির বেশী শিল্প সামগ্রী এখানে তৈরি হয়। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু হয় বিবর্তনের। শুরু থেকেই কচুরিপানা প্রধান কাচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১০জন স্টাফ সহ এ প্রকল্পে বর্তমানে নিয়মিত ১০০ ও অনিয়মিত ৪০জন। ১৯৮৪ সালের অস্থায়ী ভিত্তিতে চালু হয় বাগধা এন্টারপ্রাইজ ২৫ শতাংশ জমির উপর স্থায়ীভাবে প্রকল্পের কাজ চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের তৈরি সামগ্রীর মধ্যে শন, সুতা, পাট দিয়ে সুতলির ব্যাগ, পার্টস, সাইড ব্যাগ সহ ২৭১টি সৌখিন দ্রব্য সামগ্রী তৈরি হয়। চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে বর্তমানে ৮জন স্টাফসহ এ প্রকল্পে ৬০জন নিয়মিত ৩০জন অনিয়মিত মহিলা কাজ করছেন। ২০০৪ সাল থেকে এমসিসি’র সাথে অংশীদারিত্বমূলক কর্মকান্ডের চুক্তি মোতাবেক স্থানীয় কাঁচামাল ঘাস, বাঁশ, বেত, নারিকেল পাতার শলা, শনপাট, কলাগাছের বাকল, ইত্যাদি দ্বারা বিভিন্ন হস্তজাত মালামাল তৈরি করে আসছে। উৎপাদিত মালামাল বাজারজাতকরণ দেশী-বৈদেশিক বাজার বৃদ্ধি, নতুন নতুন স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে নতুন হস্তজাত পণ্য তৈরী সহ প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে এমসিসি চ্যারিটি ফাউন্ডেশন (সিএফ)-র সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।