মিথ্যা ও সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি
আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ মিথ্যা ও সাজানো নারী নির্যাতন মামলা থেকে রক্ষা পেতে আসামী, স্বাক্ষীসহ এলাকাবাসি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, ঝালকাঠি পুলিশ সুপার, মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে। বুধবার ঝালকাঠি কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের পাঞ্জিপুঁথিপাড়া আবাসন প্রকল্প ও পাশ্ববর্তী বাউকাঠি গোয়ালকান্দা গ্রামের অর্ধশতাধিক বাসিন্দা স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
বুধবার সরেজমিনে গেলে মামলার স্বাক্ষীসহ উপস্থিত নারী-পুরুষ, শিশু ও এলাকাবাসি জানায়, একটি প্রতিপক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদী পাখি বেগমকে (২৮) ভিকটিম সাজিয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় ধর্ষন চেষ্টা, মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মিথ্যা মামলা (নং ০৮/৯৫ ধারা ২০০০ এর ১০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬) দায়ের করে। উপস্থিত এলাকাবাসির মধ্যে গন্যমান্য আবদুল লতিফ (৬০) ও আ. মতিন (৫৮) জানায়, অসৎ চরিত্রের মহিলা দিয়ে যখন যার প্রয়োজনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এছাড়াও চারিত্রিক দোষে একাধিকবার এলাকায় শালিস মিমাংসাও হয়েছে। সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে আবাসনের কোন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও শায়েস্তা করা হবে।
এ ব্যাপারে মামলার ২নং স্বাক্ষী শাহেদা বেগম, ৩নং স্বাক্ষী সেতারা বেগম ও ৪নং স্বাক্ষী অপর সেতারা বেগম জানায়, ‘পাখি কইছে হুনছি কিছু দেহিনাই, আমাদের না জিগাইয়া স্বাক্ষী দেছে। কোর্টে ডাকছে যাইনাই। মিথ্যা কথা কইতে পারমুনা’। তবে ঐদিন বাদী পাখির সাথে ৩নং আসামী নয়নের সাথে একটি সামান্য বিষয় নিয়ে জুতাপেটার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আফজাল ও সাইদুল উপস্থিত ছিলনা। তাদেরকে অন্যকারনে আসামী করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, প্রায়শই একটি চক্র আবাসনের বাসিন্দাদের নিয়ে দুষ্ট রাজনীতি করে তাদের আখের গোছানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলেই আবাসনের কাউকে দিয়ে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হয়ে থাকে। এধরনের মিথ্যা মামলায় হয়রানী থেকে তারা মুক্তি পেতে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং এই ধরনের মিথ্যা মামলাবাজদের বিচারেরও দাবী তোলেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুপার বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
জানাযায়, বাদী পাখি বেগমের পুত্র ফয়সাল সর্দার (১২) গত ১৩ মে আবাসনের বাসিন্দা পারুল বেগমের ১০ বছর বয়সী রানী আক্তারকে নিয়ে কটুক্তি করে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা মামলার ৩নং আসামী ১০ বছর বয়সী নয়ন মৃধা এর প্রতিবাদ করে। এ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটিতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী পাখি বেগম নয়নকে পায়ের জুতা খুলে প্রকাশ্যে মারধর করে। এর অপমানে নয়ন পাখিকে গালাগাল করে। এক পর্যায়ে প্রকাশ্য বিরোধ সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষের মহিলারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা কওয়ার কোর্টে কমু, আপনাদের ধারে কিছু কমুনা। তবে তার স্বামী গিয়াস সর্দার জানান, যা ঘটছে পাখি ফোনে আমারে কইছে, তবে এর বেশী সুনির্দিষ্ট কিছু সাংবাদিকদের কাছে বলতে পারেনি।