রমজানকে সামনে রেখে বেপরোয়া কালোবাজারীরা

রাশেদ আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার ॥  পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বরিশালের আড়তদার ও কালোবাজারী ব্যবসায়ীরা। তাদের অপতৎপরতায় হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম। পুরো রমজান মাস জুড়ে ওইসব কালোবাজারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাদের ইচ্ছামাফিক মূল্যে বিক্রির করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্নস্থানে বাসা বাড়ি ভাড়া করে মালামাল মজুদ করা শুরু করেছেন। সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র কার্যক্রম আরো জোরদার করতে না পারলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলেও আশংকা করছেন খুচরা বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলাসহ মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা নিয়ে ৮ জেলায় বর্তমানে ১৪৩ জন টিসিবি’র ডিলার রয়েছেন। এদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পণ্য উত্তোলন করেছেন মাত্র ৯ জন ডিলার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ডিলাররা জানান, এ বছর টিসিবি’র পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় তারা পণ্য উত্তোলন করছেন না। ফলে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি’র মাধ্যমে নেয়া সরকারি সকল উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

বর্তমানে এখানে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ টাকা দরে। কিছুদিন আগেও চিনি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সয়াবিন তেলে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। কিছুদিন আগেও সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়। মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯৫ টাকায়। টিসিবি’র পণ্য উত্তোলনকারী ডিলাররা জানান, টিসিবি থেকে চিনির প্রতিকেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা। সয়াবিন তেল ১০৮ টাকা। কিন্তু এসব পণ্যের মান খুবই নিম্নমানের হওয়ায় তারা তা উত্তোলন করেও খুচরা বা পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না। রোজা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, তবুও এবার বেশিরভাগ টিসিবি’র ডিলাররা পণ্য উত্তোলন না করায় মজুদদার ও কালোবাজারী পাইকাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম।