গৌরনদীতে হত্যা মামলার বাদিকে অপহরন ॥ মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥  বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব বাসুদেবপাড়া গ্রামের হত্যা মামলার বাদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা অপহরন করে অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরনের চার ঘন্টা পর পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে অপহৃতাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

 

ওই গ্রামের ট্র্যাক্টর চালক ও অপহৃতা জালাল মৃধা (৫৫) অভিযোগ করেন, তার বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা মঞ্জু আক্তারকে (১৪) গত ১৩ জুন গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা অপহরন করে হত্যা করে। পরেরদিন সকালে বাড়ির পাশ্ববর্তী খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই তিনি (জালাল মৃধা) বাদি হয়ে বরিশাল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় একই গ্রামের এস.রহমান, আরমান, রায়হান, আল-আমিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা উত্তোলনের জন্য আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনে তাকে (জালালকে) বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমিক দিয়ে আসছিলো।

 

অপহৃতা জালাল মৃধা আরো অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে তিনি বাড়ির পাশ্ববর্তী জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছিলেন। এ সময় আসামিদের ভাড়াটিয়া লোক আবু বক্করের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনে কৌশলে তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। তারা একই গ্রামের মালেক রাঢ়ীর বাড়িতে নিয়ে তাকে ওইবাড়ির একটি শুপাড়ি গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে আটক করে রাখে। বিকেল ছয়টার দিকে খবর পেয়ে অপহৃতার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও শিশু পুত্র মনির মৃধা মালেক রাঢ়ীর বাড়িতে গিয়ে হামলাকারীদের কাছে অনুনয় বিনয় শুরু করলে তাদেরও মারধর করা হয়। উপায়অন্তুর না পেয়ে মরিয়ম বেগম বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গৌরনদী থানার ওসিকে জানান।

 

ওসি আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস.আই ফোরকান আহম্মেদকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এস.আই ফোরকান আহম্মেদ জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে জালাল মৃধাকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। এ ব্যাপারে ওসি আবুল কালাম বলেন, অপহরনের পর নির্যাতনের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ মামলা দায়ের করেননি। মামলা দায়ের করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।