এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারন শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলে। তদন্ত কমিটির রির্পোটের ভিত্তিতে গত ১৩ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কারনে গণ শিক্ষা অধিদপ্তর গত মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামানকে গৌরনদী থেকে সুনামগঞ্জ সদরে বদলি করেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক সহকারি শিক্ষা অফিসার জানান, বদলির আদেশের পর বদলি ঠেকাতে শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন মহলে ধর্না দিচ্ছেন। অপরদিকে আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এরপূর্বে কামরুজ্জামান ঝালকাঠীর রাজাপুরে কর্মরত অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় লঘু দন্ড হিসেবে কর্তৃপক্ষ তার দুটি ইনক্রিমেন্ট কেটে নেন।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বদলির আদেশের কথা লোক মুখে শুনেছি, তবে আমি এখনো কোন কাগজ পাইনি। বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইদ্রিস হোসেন কামরুজ্জামান কর্তৃক হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত দেয়াসহ বদলির আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন।