শাপলার পুষ্টি ও ভেষজ গুন

যায়। সাধারনত শাপলা লাল ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এছাড়াও এদের কয়েকটি প্রজাতির রয়েছে। এরমধ্যে সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি ও লাল রঙের শাপলা ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। সাধারন শাক-শবজির চেয়ে এটির পুষ্টিগুন খুব বেশি। শাপলায় রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম। শাপলায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আলুর চেয়ে সাত গুন বেশি। গবেষকদের মতে, শাপলা চুলকানী ও রক্ত আমাশয়ের জন্য বেশ উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতায় রয়েছে খনিজ পদার্থ ১.৩ গ্রাম, আশ ১.১ গ্রাম, খাদ্যপ্রাণ ১৪২ কিলো, ক্যালোরি-প্রটিন ৩.১ গ্রাম, শর্করা ৩১.৭ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ৭৬ মিলিগ্রাম। আবার শাপলার ফল দিয়ে চমৎকার সু-স্বাদু খৈ ভাজা যায়। গ্রামঅঞ্চলে ঢ্যাপের খৈ বলে এটি পরিচিত। মাটির নিচের মূল অংশকে (রাউজোম) আঞ্চলিক ভাষায় শালুক বলে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিল-ঝিল-হাওড়-বাঁওড়- পুকুরের পানি যখন কমে যায় তখন এই শালুক তুলে খাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু। তবে শালুক আমাশয়ের জন্য খুবই উপকারী বলে জানান, বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও গৌরনদীর ভেষজ গবেষক মোঃ আহছান উল্লাহ।