আগৈলঝাড়ায় দস্যুতা মামলার আসামি কর্তৃক বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ইউনিয়নের বসুন্ডা গ্রামের।

মামলার বাদি বসুন্ডা গ্রামের আজিজ খানের স্ত্রী সেলিনা বেগম গতকাল শুক্রবার এক লিখিত অভিযোগে জানান, তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী জনৈক ওমর আলী মোল্লার স্ত্রী রাশিদা বেগম কনে দেখার অজুহাতে গত ২৮ আগস্ট নাটকীয় ভাবে তাদের ঘরে প্রবেশ করে খাবারের সাথে অচেনতানাশক ঔষধ মিশিয়ে রাখে। পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পরে। ওইদিন রাতে বসত ঘরের বেড়া কেটে একদল চিহিৃত দুস্কৃতকারীরা ঘরে রক্ষিত নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয়। ঘটনার পরেরদিন ২৯ আগস্ট সেলিনা বেগম বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি রাশিদা বেগমকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করে। অভিযোগে আরো জানা গেছে, গ্রেফতারের পর রাশিদা পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এজাহারভূক্ত আসামি বসুন্ডা গ্রামের সোনামদ্দিন ফকিরের পুত্র রুবেল ফকিরের নাম উল্লেখ করে।

সেলিনা বেগম আরো অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর আসামি রুবেল ফকির ও তার সহযোগীরা মোবাইল ফোনে মামলা উত্তোলনের জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতীসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। অব্যাহত হুমকির মুখে সেলিনা বেগম তার পরিবার নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, দস্যুতা মামলার আসামি রুবেল ফকিরের বিরুদ্ধে উপজেলার ভালুকশি গ্রামের একটি ডাকাতি মামলাসহ ৩টি নারী নির্যাতন মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।