আগৈলঝাড়ায় যাত্রী ছাউনিঃ ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও রিক্সার দখলে

যাত্রীদের চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। আগৈলঝাড়া থেকে ঢাকা ও বরিশাল রুটে প্রতিদিন শতাধিক বাস চলাচল করে। বিএইচপি স্কুলের সম্মুখে বিগত জোট সরকারের আমলে টিনশেড একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করা হলেও বর্তমানে সেখানে ফলের দোকানদার, রিক্সা, ভ্যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের দখলে থাকায় দূরপালার বাস ও কোচের যাত্রীদের রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে হয়। বৃষ্টি হলে কোন যাত্রী সেখানে দাড়াতে পারছেনা।

উপজেলা সদর থেকে ঢাকা ও বরিশাল ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য কয়েকটি ছোট ছোট ঘর তুলে শুধু কাউন্টার বসানো হয়েছে। লোকাল বাসষ্ট্যান্ড থেকে ১ ঘন্টা পর পর বরিশালের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় ও একইভাবে একটি বাস প্রবেশ করে। এছাড়াও প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪টি পরিবহনের ১২টি গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়িতে যাতায়াতের জন্য শত শত যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে ও পাশ্ববর্তী দোকানগুলোতে অবস্থান করতে হয়। স্থানীয় ফলের দোকানদাররা তাদের ফলের কার্টুন, ঝুড়ি ও ফল যাত্রী ছাউনিতে রাখার কারণে যাত্রীরা সেখানে দাঁড়াতেও পারছেনা।

অপরদিকে সেখানে কোন লেন্ট্রিন বা শৌচাগার না থাকায় যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রীরা। ফলে গোটা এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে। যাত্রী ছাউনি স্থানীয় ফলের দোকানদার, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ও রিক্সা-ভ্যানের দখলে থাকায় ও দূরপালার যাত্রীদের জন্য কোন শৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।