গৌরনদীর এক সিনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

প্রভাবশালী মহল ও স্কুল সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্যক্তি জোড়পূর্বক ইস্তেফাপত্র লিখে নেয়ার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষক গৌরনদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।


পূর্ব হোসনাবাদ এস.কে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (বিএসসি গণিত) নিত্যানন্দ করের (৫৭) দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ৯ অক্টোবর থেকে তিনি সুনামের সহিত পূর্ব হোসনাবাদ এস.কে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিএসসি গণিত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এরইমধ্যে বিগত ২০০২ সালের ফেব্র“য়ারি মাস থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন খানের অনুপস্থিতির কারনে তিনি (প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন) তার দায়িত্ব ভার অর্পন করেন নিত্যানন্দ করের ওপর। এতে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক এ.এম.জি ওসমানী ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যদের যোগসাজসে ২০০৬ সালের ১১ মে জোড়পূর্বক নিত্যানন্দ করের কাছ থেকে ইস্তেফাপত্র লিখিয়ে নেন।

এ ঘটনায় শিক্ষক নিত্যানন্দ কর বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করলে পূণঃরায় তাকে কর্মস্থলে যোগদান করিয়ে কৌশলে ওই চক্রটি মামলা উত্তোলন করিয়ে নেয়। এরইমধ্যে প্রভাবশালী ওই মহলটি শিক্ষক নিত্যানন্দ করের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপবাদ রটিয়ে দেয়। অভিযোগে আরো জানা গেছে, শিক্ষক নিত্যানন্দ করের কাছে একাধিকবার এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি স্কুলের কতিপয় ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের দিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাছে স্কুল শিক্ষক নিত্যানন্দ করের বিরুদ্ধে নারী ঘঠিত অপবাদ রটিয়ে অভিযোগ দেয়া হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক, মোফাজ্জেল হোসেন দফাদার, মাষ্টার আবুল বাশার হাওলাদার, পারুল বেগম জানান, অভিযোগের ভিত্তিত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের তদন্ত করে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এরপর ওই কু-চক্রি মহলটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে স্কুল শিক্ষক নিত্যানন্দ করকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে। স্কুল শিক্ষক নিত্যানন্দ কর আপেক্ষ করে বলেন, দক্ষতা ও সুনামের সহিত শিক্ষকতা করা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমি অপরাধী। আর এ কারনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভূয়া রেজুলেশন করে গত জুলাই মাস থেকে আমার বেতন ভাতা স্থগিত করে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, আমি অন্য জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাধে প্রভাবশালী ওই মহলটি পরিবারের কাছে আমাকে হেয় করার জন্য আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথা বলা অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়াও আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতিসহ পূর্ণরায় জোড়পূর্বক ইস্তেফাপত্র লিখে নেয়ারও হুকমি দিচ্ছে। কতিপয় প্রভাবশালীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে সিনিয়র শিক্ষক নিত্যানন্দ কর সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।