কলাপাতা দিয়ে ঘর বানিয়ে

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাঁতী এনামুল হক জানান, সালিশ বৈঠকে মাইন উদ্দিন গংরা তাদের ক্রয়কৃত ১ একর ৫২ শতক সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র হাজির করলেও প্রতিপক্ষ আমির গংরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সালিশ বৈঠককে বৃদ্ধাঅঙ্গুলী দেখিয়ে আমির গংরা সম্পত্তি দখলের জন্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আমির হোসেন বাদি হয়ে গত বছরের ১০ নভেম্বর বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬ জনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা দায়ের করে। যা পুলিশের তদন্তে মিথ্যে মামলা হিসেবে প্রমানিত হয়।

মাইনউদ্দিন আকন অভিযোগ করেন, আমির হোসেনের দায়ের করা চুরির মামলা মিথ্যে প্রমানিত হওয়ার পর সম্পত্তি দখলের জন্য সে (আমির) ও তার সহযোগীরা নানামূখী ষড়যন্ত্র শুরু করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মাইনউদ্দিন আকন বাদি হয়ে গত ২০ জানুয়ারি বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ও গত ৫ ফেব্র“য়ারি উজিরপুর থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে সু-চতুর আমির হোসেন তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে বাদি করে গত ১১ ফেব্র“য়ারি বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই আমির গংরা সম্পত্তি দখলের জন্য গত ৪ দিন পূর্বে মাইনউদ্দিন গংদের সম্পত্তিত্বে জোরপূর্বক কলাপাতা দিয়ে একটি ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করেন।

অসহায় মাইনউদ্দিন আকন (৬০) সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ আমির হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগমের দায়ের করা মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে ও তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলদার মুক্ত করতে প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।