মামলায় জড়িয়ে স্বর্বস্ত্র খুইয়ে নিঃস্ব হওয়া

মামলার পর পুলিশ আয়নালকে তার নিজগৃহ থেকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করে। পরবর্তীতে শিল্পী ও হেলালকে পুলিশ উদ্ধার করে কোর্টে প্রেরন করলে আদালতে শিল্পী নাবালিকা প্রমানিত হওয়ায় তাকে (শিল্পীকে) তার বাবার কাছে ও হেলালকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সুযোগে শিল্পীর পিতা লোকমান মৃধা তার কন্যা শিল্পীকে একই উপজেলার মানিককাঠী গ্রামের জনৈক মোস্তফা ফকিরের সাথে বিয়ে দেন। আট মাস কারাভোগের পর হেলাল জামিনে বের হওয়ার পর শিল্পী বেগম স্বামীর ঘর ফেলে পূর্ণরায় হেলালের কাছে ছুটে আসে। সে সময় শিল্পীর স্বামী মোস্তফা ফকির বাদি হয়ে হেলাল তার দিনমজুর পিতা আয়নালকে আসামি করে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ হেলালকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করলে পূর্ণরায় সে (হেলাল) ৩ মাস কারাভোগ করে। অপরদিকে শিল্পীর মা খালেদা বেগম বাদি হয়ে ফৌজদারি আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৬ বছর সুখে স্বাচ্ছন্দেই কাটছিলো হেলাল ও শিল্পীর দাম্পত্য জীবন। গত দেড় বছর পূর্বে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান।

দিনমজুর আয়নাল বেপারী অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ১৩ অক্টোবর শিল্পী বেগমের সাথে আমার সামান্য কথার কাটাকাটি নিয়ে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এ ঘটনার জেরধরে শিল্পী তার পিতার কু-পরামর্শে বাবার বাড়িতে গিয়ে ওই বছরের ২ নভেম্বর বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিল্পী বেগম বাদি হয়ে যৌতুক বিরোধী আইনে স্বামী হেলাল বেপারীকে প্রধান আসামি করে তার পিতা, মাতাসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গত আটদিন পূর্বে উজিরপুর থানা পুলিশ হেলাল বেপারীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করলে আদালত তাকে (হেলালকে) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আয়নাল বেপারীর অভিযোগে আরো জানা গেছে, বর্তমানে মামলা উত্তোলনের জন্য বাদি পক্ষের লোকজনে তার কাছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবি করছেন। কান্নাজড়িত কন্ঠে দিনমজুর আয়নাল বেপারী বলেন, একের পর এক মামলা চালাতে গিয়ে বাবার রেখে যাওয়া সহয় সম্পত্তি বিক্রি করে আজ নিঃস্ব হয়ে পরেছি। আজ প্রভাবশালীদের রোষানলে মামলা থেকে রক্ষা পেতে আমার একটাই উপায় আছে তা হচ্ছে আত্মহত্যা। বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন দিনমজুর আয়নাল বেপারী। আয়নাল বেপারীর পরিবার মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।