বউ পেটাও তবে ?

সেটা যেন বোঝার উপায় না থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরে ক্ষত তৈরী না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পেটানো অপরাধ নয়। পেটানো যে হয়েছে, তেমন কোনো প্রমাণ রাখা যাবে না। সংযুক্ত আরব আমীরাতের সর্বোচ্চ আদালত এই নোটিশ দিয়েছে। দেশটির স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা “দ্য ন্যাশনাল” এই খবর প্রকাশ করেছে।

সম্প্রতি দুবাইয়ের এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী ও কন্যাকে বেদম প্রহার করেন। এতে দু’জনের সারা শরীরে দাগ তৈরী হয়। ভদ্রলোকের স্ত্রী ও কন্যা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নিয়ে যান। দীর্ঘ শুনানির পর গত রবিবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ফালাহ আল হাজেরি এক রুলিং দেন। তার রুলিং লিখিত ঘোষণা আকারেও প্রকাশ করেছে আদালত। রুলিংয়ে তিনি বলেন, ইসলামে স্বামী কর্তৃক বউ পেটানোর অধিকার দেয়া হয়েছে। তবে সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। সীমারেখা কেমন হবে সে ব্যাপারটিও তিনি মোটামুটি তার রুলিংয়ে পরিস্কার করেছেন। মোটকথা হলো, কোনো প্রমাণ রেখে বউ কিংবা সন্তানকে পেটানো যাবে না। দুবাই অ্যান্ড বাগদাদ ইউনিভার্সিটির শরিয়া স্টাডিজের প্রধান ড. আহমেদ আল খুবাইসি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “স্ত্রী যদি অন্যায় কিছু করে থাকে তবে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা যেতে পারে। তবে যদি সেই অন্যায় তেমন গুরুতর না হয় তবে স্বামী নিজেই তাকে শাস্তি দিতে পেটাতে পারেন। এতে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে গোপন রেখে ফয়সালা করা যায়, আশেপাশের মানুষ যেন কিছু টের না পায়”।