অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসিছলো মাদ্রাসা ছাত্রী উম্মে কুলসুম শিলাকে। ওই বখাটে যুবক একাধিকবার মাদ্রাসা ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপেরও হুমকি দেয়। এতে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে তড়িঘড়ি করে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন তার পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের আগেরদিন রাতে বখাটেরা বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় উভয়ের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার একদিন পর (১৭ সেপ্টেম্বর) বখাটের পিতা জাকির হাসেন মারা যায়। এ ঘটনায় ওই মাদ্রসা ছাত্রীসহ তার দুর-দুরান্তের আত্মীয়-স্বজন এমনকি ওই বাড়ির চারটি পরিবারের স্কুল পড়য়া ছেলে-মেয়েদেরকেও অভিযুক্ত করে সর্বমোট ২২জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বেলুহার গ্রামের।
ওই বাড়ির নাসির সরদারের স্ত্রী মুকুলি বেগম আভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশের গ্রেফতার আতংক ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আবু ছাদেক, আবু সালেহ্, আবু তাহের ও আমাদের (নাসির সরদারের) পরিবারের সবাই বাড়ি ঘর ছেড়ে আত্মগোপন করি। এ সুযোগে তাদের বাড়ির চারটি বসত ঘরের সকল মালামাল, গবাদি পশু, পুকুরের মাছ, ঘরের চাল ও ধান এমনকি লবনের বাটিটি পর্যন্ত লুট করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজনে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে আসামিরা আগাম জামিন লাভ করে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের সরনাপন্ন হন। থানার এস.আই মাহবুব আলম বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বেলুহার গ্রামে মাদ্র্রাসা শিক্ষক আবু ছাদেক সরদারের সাথে একই গ্রামের জাকির সরদারের পুত্র আবু বক্করের হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আহত জাকির সরদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের সহদর খলিল সরদার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন লাভ করেছেন। তারা গতকাল রবিবার বিকেলে থানা পুলিশের কাছে বাড়িতে পৌঁছে দেয়াসহ নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করার প্রেক্ষিতে আমিসহ একদল পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
মুকুলি বেগম অভিাযোগ করে আরো বলেন, ৪৫ দিন পর বাড়ি ফিরে এসে আমরা দেখতে পাই, শুধু ঘরটিই আছে আর কিছ্ইু নেই। প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের লোকজনে তাদের এখনো নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে তিনি (নাসির সরদারের স্ত্রী মুকুলি বেগম) বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুকুলি বেগম সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।