গৌরনদীতে ওএমএস’র ১০ টন চালসহ ৬ জন আটক

থানা পুলিশ গতকাল শুক্রবার দুপুরে ৬টি নসিমন ভর্তি ১০ মে.টন চালসহ ৬ জন নসিমন চালককে আটক করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই চালভর্তি অপরএকটি নসিমন পালিয়ে যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ওএমএস ডিলারদের কাছে প্রতিদিন ন্যায্যমূল্যে চাল ক্রয়ের জন্য দিনমজুর লোকজন এসে ফিরে যাচ্ছে। অসাধু ডিলাররা অধিক মুনাফা লাভের জন্য ন্যায্যমূল্যের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিলো। ওএমএসের চাল সঠিকভাবে বিক্রির তদারকির জন্য ৫জন সরকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তারা ডিলারদের কাজে কোন তদারকি করছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ৫জন ডিলার হান্নান মোল্লা, মান্নান হাওলাদার, রমনী বাড়ৈ, গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার ও রমনী কান্ত সরকার ওএমএস’র ২০মে.টন চাল উত্তোলন করেন। প্রত্যেক ডিলার ২ মে.টন চাল বিক্রির জন্য ঘরে উত্তোলন করেন। বাকি ৫ ডিলারের ১০ মে.টন চাল গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের চাল ব্যবসায়ী সুধা রঞ্জন বণিকের কাছে অধিক মুনাফা লাভের জন্য কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। গোডাউন থেকে ওসিএলএসডি শাহআলম চৌধুরীর সহযোগিতায় ৭টি নছিমনে টরকী বন্দরে যাওয়ার সময় গৌরনদী বাসষ্ঠ্যান্ড সংলগ্ন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৬টি নছিমনে প্রায় ১০ মে.টন চালসহ নসিমন চালক জাকির হোসেন, সোহেল আহম্মেদ, ফারুক হোসেন, আজিজুল ইসলাম ও আনিসুল ইসলাম ও রহমানকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই চাল বোঝাই অপর একটি নছিমন পালিয়ে যায়।

নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আগৈলঝাড়া খাদ্য গুদামে ওসিএলএসডি শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ৫জন ডিলারকে ৪ মে.টন করে ওএমএস’র ২০ মে.টন ও পূজার পাওনা ১ মে.টন ১শ’ ৪০ কেজি চাল গোডাউন থেকে গতকাল শুক্রবার দেয়া হয়েছে। গোডাউনের বাইরে চাল নিয়ে কে কি করল তা আমার জানার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে ডিলার গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমার উত্তোলনকৃত ৪ মে.টন চাল আমার দোকানেই মজুদ রয়েছে। আটককৃত চাল আমার নয়। ডিলার তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত বিআরডিবি’র কর্মকর্তা মিন্টু বৈরাগীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি গত ৪দিন ধরে অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় রয়েছি। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম বলেন, তদন্তে ওএমএসের চাল প্রমানিত হলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তে ওএমএস’র চাল প্রমানিত হলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। আটককৃত চাল গৌরনদী থানা হেফাজতে রয়েছে।