১০ বছর বয়সী শিশুর পর্ণো ছবি

এসব পর্নো প্রস্ততকারী প্রতারক চক্রটিকে র‌্যাব ও পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে না পারায় সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঝিনাইদহ শহরের। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পেনড্রাইভ অথবা সিডির মাধ্যমে একটি চক্র এই ভিডিও চিত্রটি বাজারে ছেড়েছে। চক্রটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা না গেলেও স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সী তরুনেরা এ ভিডিও চিত্রটি দেখতে সাইবার ক্যাফের দোকানে ভীড় জমাচ্ছে। ভিডিও চিত্রে ৩০ বছর বয়সী এক লম্পট ১০ বছর বয়সী শিশুটির ওপর নির্যাতনের সময় তার অহসায় আকুতি ও ক্রন্দন ফুটে উঠেছে। নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ সমবায় মার্কেটের সাইবারক্যাফ ব্যবসায়ীরা জানান, কে বা কারা এই ভিডিও চিত্রটি বাজারে ছেড়েছেন তা তারা বলতে পারেন না। এ বলেই দায়সারা করতে চান ওইসব ব্যবসায়ীরা। তবে সমবায় মার্কেটের বেশ কিছু দোকানে এই ভিডিও চিত্র পাওয়া যাচ্ছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছেন। ভিডিও ব্যসায়ীদের মতে, প্রায় ১০ মিনিটের ২টি ভিডিও চিত্র তৈরী করে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত বাড়ী ও মাঠে এ সব চিত্র ধারণ করা হয়। এ সব চিত্র ধারণকারী এক কিশোরের ছবিও ভিডিওতে রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের সাইবারক্যাফে ও ভিডিও দোকানে দীর্ঘদিন ধরে এ জাতীয় পর্ণো ছবি দেখানো হচ্ছে। প্রেমের ফাঁদ ও দারিদ্রতার সুযোগে একটি লম্পট, প্রতারক চক্র এসব ভিডিও করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে চাকলাপাড়া, গোডাউনপাড়া, কালীগঞ্জ ও মহেশপুরে তরুণীদের পর্ণো ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বাজারে ছাড়া শিশুর ভিডিও চিত্রটি ঝিনাইদহের কোন এক গ্রাম থেকে করা হয়েছে বলে সাইবার ক্যাফ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। তবে লম্পট চক্রটির বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসন বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোন নজরদারী না থাকায় অবাধে ঝিনাইদহের সাইবারক্যাফ ও ভিডিওর দোকানের রমরমাভাবে পর্ণো ছবির ব্যবসা চলছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লিডার আলভি ফেরদৌস খান জানান, তারা এই চক্রটি ধরতে সক্রিয় রয়েছেন। ঝিনাইদহ থানার ডিউটি অফিসার অনিমেষ কুমার জানান, তারা বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন। পর্ণো ছবি উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে বলে তিনি জানান। তাদের এ অভিযান সফল হউক আমরা এ কামনাই করছি।