ধামুরায় কিশোরীকে ১২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক ভন্ড ফকির (৫২)। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরী বাদি হয়ে ভন্ড ফকিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে ধর্ষক ভন্ড ফকির লালচাঁদকে পুলিশ সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, উজিরপুরের উত্তর ধামুরা গ্রামের রজ্জব আলীর পুত্র ফকির লালচাঁদ হাওলাদার এলাকায় ভন্ড ফকির নামে পরিচিত। চিকিৎসার নাম করে প্রতারণা করায় সে বিভিন্ন এলাকায় ইতিপূর্বে গণধোলাইও খেয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বরিশাল শহরের রূপাতলী খালার বাসা থেকে এক কিশোরীকে কৌশলে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে উজিরপুরের ধামুরা গ্রামে নিয়ে আসে লালচাঁদ। এরপর ভাগ্নি রোকেয়ার বাসায় আটকে রেখে চিকিৎসার নাম করে তাকে ওই ভন্ড ফকির ধর্ষণ করে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। তারা উজিরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ভন্ড ফকির লালচাঁদকে গ্রেফতার করে ও কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার করা কিশোরী ভোলা সদরের চর খলিফা গ্রামের মফিজুল ইসলামের কন্যা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলে, লালচাঁদ চিকিৎসার নাম করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কিশোরীদের এনে ওই বাড়িতে রেখে প্রায়ই নির্যাতন করতো। উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।