ভাগ্য অনিশ্চিত ১৮ শিক্ষার্থীর – আগরপুর হাইস্কুলে ফরম বানিজ্য

শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করতে না পারায় ওই স্কুলের ১৮ জন শিক্ষার্থী আগামি এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারছেন না। এনিয়ে গতকাল শনিবার দিনভর ওই এলাকায় লঙ্কাকান্ড ঘটনা ঘটেছে।
স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগে জানা গেছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজ্জাফর আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল শরীফের যোগসাজসে আগামি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। অভিভাবক হাবিবুর রহমান খান অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ফরম পূরনের জন্য আড়াই হাজার টাকা আদায় করেছেন। একপর্যায়ে ওই টাকার রশিদের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে তাকে তিন’শ টাকা ফেরত দেয়া হয়। একই ভাবে অভিযোগ করেন ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।

ওই স্কুলের শিক্ষার্থী সজিব শেখ, মোস্তাফিজুর রহমান, নারগিচ আক্তার, খাদিজা খানমসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা টেষ্ট পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মুজাফর আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল শরীফ গতকাল শনিবার তাদেরসহ এসএসসি পরীক্ষার্থী স্কুলের সকল পরীক্ষার্থীর ফরম পূরনের জন্য স্কুলে আসতে বলেন। সেমতে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলে আসা হয়। সেখানে ফরম পূরনের জন্য তাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা করে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির উল্লেখিত সদস্য। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওইদিন (শনিবার) বিকেলে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল শরীফ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। এসময় স্কুল প্রাঙ্গনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভে ফেঁটে পরেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ওই বির্ককিত সদস্য কৌশলে স্কুল থেকে সটকে পরেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যর একক সিদ্ধান্তে আগামি এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না ওই স্কুলের ১৮ জন শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুজাফর আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল শরীফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিববার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।