গৌরনদীতে সরকারি উদ্যোগে খালখনন

গত ফিরের (বিগত বিএনপি সরকারের আমলের স্থানীয় ) এমপির ধারে খাল কাটার লাই¹া মোরা কৃষকরা কতোবার যে ধরনা দিছি কিন্তু কোন কাম হয়নায়” কথাগুলো বলছিলেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ জামাল সরদার। একথা শুধু জামালের নয় একইভাবে জানালেন ওই গ্রামের কৃষক রবিন দাস, শওকত সরদার, সুধীর দাস, মিজু কবিরাজসহ একাধিক ব্যক্তি।
কৃষকদের ভাষ্যমতে, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর পরই সরকারের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী গৌরনদীর মাহিলাড়ায় কৃষক সমাবেশ করেন। ওইসময় স্থানীয় কৃষকদের দাবির মুখে তিনি (কৃষিমন্ত্রী) মাহিলাড়া থেকে ভায়া লালপুল হয়ে কেফায়েত নগর পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের জনগুরুতপূর্ণ খাল পূণঃখননের আশ্বাস দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএডিসির বরিশাল-ঝালকাঠী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গত এক সপ্তাহ পূর্বে মের্সাস অপূর্ব ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উক্ত খাল পূণঃখননের কাজ শুরু করে।
মাটি কাটা শ্রমিকদের সর্দার মোঃ সেলিম মিয়া জানান, প্রতিদিন ১১৫ জন শ্রমিক খাল পূণঃখননের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে কোদাল ও খোঁনতা দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ সাতলার মাটিকাটা দল এ খাল খনন করছেন। তিনি আরো জানান, ১৫ ফুট পার্শ্বে, ৪ ফুট উচ্চতা ও সাড়ে ৬ ফুট গভীর করে খাল খননের শ্রমিকদের কোদালের কাজে নিয়োজিত প্রতিজনকে ২৫০ টাকা ও খোঁনতা দিয়ে মাটি কাটা প্রতিজন শ্রমিককে ৩৩০ টাকা করে প্রতিদিন পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারকি কাজে নিয়োজিত মাহিলাড়া গ্রামের পলাশ কবিরাজ বলেন, আমার বাড়ির সম্মুখ ভাগ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পূণঃখননের কাজ সুষ্ঠভাবে ও কৃষকদের পরামর্শনুযায়ী সম্পাদন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর সেচ পানির অভাবে এ খালের আওতাভুক্ত ১৬টি ইরি-বোরো ব্লকের প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়ে আসছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর আশ্বাসে এ বছর জনগুরুতপূর্ণ খাল পূণঃখননের কাজ চলেছে। আগামি বছর থেকে আর সেচ পানির অভাব হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সিডিউল অনুযায়ী খাল খনন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএডিসির প্রকৌশলী মতিলাল রায় ও মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আলমগীর কবিরাজ।