কালকিনিতে ধরা ছোয়ার বাইরে বালু সন্ত্রাসের রাঘব বোয়ালরা!

প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসব বন্ধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কয়েকদফা ভ্রাম্যমান আদালত ইউএনও কর্তৃক পরিচালিত হলেও রাঘব বোয়ালরা রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে এই বালু সন্ত্রাসের দায়ভার নিতে হচ্ছে শুধুমাত্র ট্রাক চালকদের। গত বুধবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পালরদী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু  ট্রাকে করে অন্যত্র সরানোর সময় ইউএনও আরো একটি ট্রাক আটক করে মটরযান আইনে মামলা ও ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। ফলে ৬টি বালু উত্তোলনকারী যন্ত্র আটকের মাধ্যমে প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে সহজেই। প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নানা চাপের কারনে ১১ দিনেও উপজেলা প্রশাসন হার্ড লাইনে যেতে পারছে না বলে একটি সূত্র দাবি করেছেন।


সূত্রে মতে, উপজেলার পৌর এলাকা, আলী নগর, মিয়ারহাট, শিকারমঙ্গল, রমজানপুর ও কয়ারিয়া এলাকার পালরদী নদীর বিভিন্নস্থানে ও সরকারী খাল, পুকুর ও ডোবা থেকে ৫০ থেকে ৬০টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এমনকি পৌর তহশিলদার ভূমি অফিসের সামনে থেকে ৫/৬টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। শুধুমাত্র এ কয়টিই ইউএনও জব্দ করেছেন।  অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগীতার ফলে রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এ প্রর্যন্ত দুইবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬ বালু উত্তোলনকারী যন্ত্র জব্দ ও দুটি ট্রাক চালককে মটরযান আইনে মামলাসহ ১৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করলেও অসাধু কর্মকর্তা ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।


ভ্রাম্যমান আদালত পরিচলনা ছাড়াও বালু উত্তোলন রোধে ও সরকারী আইন অমান্যকারী কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে কি-না জানতে ইউএনও’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বৃহস্পতিবার দুপুরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ  করেননি।