স্বীকৃতির অপেক্ষায় ১৪ বছর

ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে তিনি স্থানীয় মুজিব বাহিনীর কমান্ডার জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পাকহানাদার প্রতিরোধে সম্মুখযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সে হিসেবে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক তোফায়েল আহম্মেদের স্বাক্ষরিত সনদপত্রও রয়েছে তার। এছাড়াও তার সহযোদ্ধারা এখনো রয়েছেন জিবীত। ১৯৯৬ সনের ৬ জুন তিনি (মুক্তিযোদ্ধা কাসেম খান) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই স্বীকৃতিটুকু অর্জনের জন্য প্রাণপন চেষ্টা করেও হয়েছেন ব্যর্থ। তার মৃত্যুর পর আমি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে যোগাযোগ করেছি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে। তার পরেও আজো আমার মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর স্বীকৃতি পাইনি” আক্ষেপ ও কান্নাজড়িতকন্ঠে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নবেম্বর) দুপুরে বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবের হাজির হয়ে কথাগুলো বলেছেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কাসেম খানের বিধবা স্ত্রী জীবন নেছা খানম (৪৫)।

Gournadi.com


কালকিনি উপজেলার সাবেহরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ আবুল কাসেম খানের বড়পুত্র রাসেল খান জাহিদ বলেন, তার পিতা ছিলেন জনতা ব্যাংকের ঢাকার ডি.আই.টি কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার। সে সুবাধে ছোটবেলা থেকেই তারা ঢাকায় বসবাস করছেন। তিনি আপেক্ষ করে বলেন, একজন অকুতভয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও আজ আমরা সেই অর্জনটুকু কাজে লাগাতে পারছি না। রাসেল খান জাহিদ এইচ.এস.সি ও তার ছোটভাই সোলায়মান খান বিপ্লব বি.এ পাশ করেন। পিতার মৃত্যুর পর অর্থাভাবে তাদের একমাত্র বোন ইভা বিনাচিকিৎসায় মারা যায়। বন্ধ হয়ে যায় তাদের লেখাপড়া। এখন তারা দু’ভাই-ই বেকার অবস্থায় রোগাক্রান্ত মাকে নিয়ে কোন একমতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাবার স্বীকৃতিটুকু থাকলে খুব সহজে সেটিকে কাজে লাগিয়ে হয়তো কোন কর্মসংস্থান তৈরি হতো তাদের। বিধবা জীবন নেছা খানম তার মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।