বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধার কাজ সম্পন্ন ॥ মামলা দায়ের

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার মোঃ শরীফের নেতৃত্বে বিমান বাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধার কাছে অংশগ্রহন করেন। এদিকে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ ইবনে আহমেদ ও মাহমুদুল হকের মৃত্যুর ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আদিবুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন (যার নং-৭)। মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহনকারী বরিশাল মেট্রো পলিটন বিমান বন্দর থানার এস.আই আবুল খায়ের জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকালে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। এসময় পুরো এলাকা ঘিরে রাখেন বিমান বাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। বিধ্বস্ত বিমানটির কিছু অংশ মাটির নিচে ঢুকে যাওয়ায় মাটি খুড়ে তা উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর আড়াই টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। কোন আলামত যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য উদ্ধার কাজ চলাকালীন সময় কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বরিশাল বিমান বন্দরের ম্যানেজার হানিফ গাজী বলেন, সড়ক পথে বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠী গ্রামে বরিশাল বিমান বন্দরের উত্তর-পশ্চিম কোনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিমানের দু’আরোহী স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ ইবনে আহমেদ ও পাইলট মাহমুদুল হক।