কালকিনিতে দোয়া প্রার্থনায় নতুন মুখ!

মেয়র পদে ৩জন প্রার্থীই এবার নতুন মুখ। আ’লীগ, বিএনপি ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে এবার। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের ৩৯প্রার্থীর অধিকাংশই ভোটারদের কাছে নতুন মুখ। মনোনায়নপত্র জমাদান ও যাচাই-বাছাই শেষে এখনো প্রতিক বরাদ্ধ না হলেও বসে নেই প্রার্থীরা। ভোট নয় রাত-দিন দোয়া চেয়ে প্রার্থী ও সমর্থকেরা ব্যস্ততার সাথে চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এদিকে জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচনে না দেখায় হতাশ হয়েছে পৌরবাসী।

জানা গেছে, ১৯৯৬সালে কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সভা ডেকে রেজুলেশনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করেন এবং পরের বছর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৌরসভা ঘোষনা করা হয়। ১৫বছরের পৌরসভার রাজত্বে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ ও তৌফিকুজ্জামান শাহীন। দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে শান্ত পরিস্থিতির একটি পৌরসভায় রুপান্তর করেছেন তৌফিকুজ্জামান শাহীন। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২৪হাজার। পৌরসভায় জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, আ’লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি লোকমান সরদার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মনির হাওলাদার ও সাবেক সফল ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ।

একাধিক পৌরবাসী জানায়, ‘দীর্ঘদিন থেকেই সকলের ধারণা ছিল এদের মধ্য থেকেই একজন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। কিন্তু দলীয় মনোনায়নের ম্যারপাচে তারা আর প্রার্থী হতে পারেননি। এতে তারা হতাশ’। আ’লীগ থেকে মনোনায়নপত্র দাখিল করেছেন খায়রুল আলম খোকন বেপারী, বিএনপি থেকে মাহাবুব মুন্সি ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত হোসেন। মেয়র পদের প্রার্থী হিসেবে এরা ৩জনই নতুন।

পৌর এলাকার হারুন বেপারী বলেন, ‘পৌরসভার নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও দলীয় মনোনায়ন দেয়ায় প্রার্থী ও দল উভয় নিয়েই আমরা বিভ্রান্তিতে পড়েছি’।

দলীয় প্রার্থীর মনোনায়ন প্রসঙ্গে একাধিক পৌরবাসী জানান, ‘প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করে প্রত্যেকটি দলকে প্রার্থী নির্ধারণ করা উচিত ছিল। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূল হয়েছে আ’লীগের’। আর এর সুফল পেতে পারে বিএনপি ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী’।