হিজলায় অব্যাহত ডাকাতি ॥ প্রশাসন বেকায়দায়

অব্যাহত ডাকাতির ঘটনায় প্রশাসন বে-কায়দায় পরেছে। সম্প্রতি হিজলায় বেশ ক’টি ডাকাতির  ঘটনা ঘটেগেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলার হরিনাথপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহি ট্রলারে ডাকাতি, মলি¬কপুরে বালির বোর্ডে ডাকাতি, একই এলাকায় মাল বোঝাই কার্গো বোর্ডে ডাকাতি সহ নানা অপরাধ অপকর্ম ঘটে যাচ্ছে। সেই সাথে প্রতিনিয়ত মেঘনা নদীতে চলছে জল দস্যূদের মহরা।

 

এছাড়া উপজেলা সদরে আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের বাড়িতে গুলি। একই মাসে উপজেলার গুয়াবাড়িয়ার নুরুজ্জামান খান এর কাছ থেকে দিনদুপুরে ৫০ হাজার টাকা ছিন্তাই। সব মিলে হিজলা উপজেলা এখন আতংকের উপজেলায় পরিনত হয়েছে বলে দাবী করেছে খোদ সরকার দলের বেশ কয়েক নেতা ।

পুলিশ প্রশাসন জানায়, এর সাথে জড়িত রয়েছে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা। যা পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের গতি পথের সন্ধান মিলাতে সক্ষম হয়েছে। তুবুও এরা বে-পরোয়া। এক শ্রেনীর অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সাথে জোট বেধেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর ।

সূত্রে জানা গেছে হিজলার মলিকপুরে কার্গো বোর্ড ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের রত্তনপুর গ্রামের ডাকাত মিজান মিয়ার নেতৃত্ত্বাধীন আন্ত জেলা ডাকাত দলের সদস্য। এদের কাজ বিভিন্ন আঞ্চলে ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্ম পরিচালনা। কোন না কোন রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় এরা কাজ করে থাকে বিভিন্ন আঞ্চলে। স্থানীয় ভাবেও এদের আপরাধ কর্মের স্বাক্ষর রয়েছে। কাদিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কন্যাকে পিতার সামনে লাঞ্ছিত করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি এই দলটি। শিক্ষক স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে সহায়তা চেয়ে প্রতিকার পান নি। আবশেষে নিজেকে নিজে সামলে নিয়েছেন। ঐ ডাকাত দলটি বিগত সময়ে মলি¬কপুরে ট্রলার ডাকাতির মালামাল মোবাইল নগদ টাকা এমনকি কার্গো বোর্ডে ব্যবহৃত টর্চলাইট স্থানীয় পশ্চিম রত্তনপুরের আনোয়ার সরদারের বাড়ি ৭ ডিসেম্বর ভাগাভাগি করে নেন বলেও পুলিশের একটি সূত্র দাবী করেছে।

এবিষয়ে আলাপকালে হিজলা থানার ওসি রফিকুল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনার পর তদন্তে জরিতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি বলেন ডাকাতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে তা তিনি জানাতে নারাজ।