সরকার নির্ধারিত ৯০ টাকার সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, চালের চাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১ থেকে ৩ টাকা। নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে গতকাল রোববার এ তথ্য পাওয়া গেছে। বরিশালের বাজারে নিত্য পন্যের মূল্য লাগাম হীন ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে ।
খোলা সয়াবিন সরকারীভাবে ৯০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ থাকলেও তা বরিশালের বাজারে প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়া বেতল জাত কৃত বিভিন্ন কোম্পনির প্রতি লিটার তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা।
এদিকে তেলের পাশা-পাশি গত ১ সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ১ থেকে ৩ টাকা। গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে। ৪০ টাকার পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। এছাড়া লতা-২৮চাল ৪২ থেকে ৪৪টাকা, স্বর্না ৩ থেকে ৩৯টাকা, পারিজাত ৩৯ থেকে ৪০টাকা, হাসকি ৩৯ থেকে ৪০টাক এবং মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ১ সপ্তাহের তুলনায় এসব চাল কেজি প্রতি ১ থেকে ৩টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রতা বিক্রেতারা জানান।
এদিকে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ৮০ টাকার পিয়াজের ঝাজ কিছুটা নেমে তা এখন বরিশালের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। বাজারে আটার দামও বেড়েছে আরো এক ধাপ প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়। কয়েক দিন পূর্বে যার মূল্য ছিল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। চালের পাশা-পাশি প্রতি কেজি আদা (পুরাতন) ১৬০ টাকা,নতুন ১’শ থেকে ১’শ ১০ টাকা। রসুন ২’শ থেকে ২’শ ২০টাকা, মসুর ডাল ১শ’ থেকে ১শ’ ২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১শ’৪০ থেকে১শ’৫০ টাকা, হলুদ ৩শ’ থেকে ৩শ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতারা একদিকে দুষছেন খুচরা বিক্রেতাদের। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারী বিক্রেতাদের। গতকাল নগরীর পুরান বাজারের ক্রেতা পান্না মিয়া জানান, বাজারে নিত্য প্রযজনীয় সকল পন্যের দাম বৃদ্বি পাচ্ছে। প্রতিটি জিনিসের দাম এভাবে দিন দিন বাড়তে থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পরবে। দাম বৃদ্ধির কারনে সাধারন কেটে খাওয়া মানুষের কষ্ঠ আরো বাড়বে।
এনায়েত হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারী পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি দ্রুত ভোজ্য তেল সহ অন্যান্য পন্য সামগ্রির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবী জানান। স্ব-রোড এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান, দাম বাড়ার বিষয়ে তাদের কোন হাত নেই। যে দামে তারা ক্রয় করছেন তেমন ভাবে বিক্রি করছেন। দাম বাড়া কমার জন্য পাইকারী বিক্রেতারা দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।