বিএইচপি একাডেমীর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধ

ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির পদ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন বিলে স্বাক্ষর করলেও তা উত্তোলন করতে পারেনি তারা। শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচন হলেও সভাপতির পদ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান ও নির্বাচিত সদস্য সুনীল কুমার বাড়ৈসহ ৫জন সদস্যের  মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে দু’টি মামলা দায়ের হয়। এবিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের উর্ধতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাসকে কমিটির সভাপতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথম সভা করে একজন বিদ্যোৎসাহী কোঅপ্ট করে নেয়ার বিধান থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত কার্যকর সভা করতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি দাবি করে সোনালী ব্যাংক, আগৈলঝাড়া শাখায় উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে তার স্বাক্ষর ছাড়া বেতন উত্তোলন করা যাবেনা মর্মে পত্র দিয়েছে।

একারণে ওই স্কুলের ১৬জন শিক্ষক, ১জন অফিস সহকারী, ৪জন এমএলএসএস ও ১জন নৈশপ্রহরীসহ মোট ২২জনের বেতন গত নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। প্রতিমাসে ওই স্কুলের ১লাখ ৫৬ হাজার ৫শ’ ৯৩ টাকা বেতন উত্তোলন করেন ওই স্কুলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। স্কুলের বেতন না পেয়ে ওইসব শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাসের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু ওই কমিটির সদস্যরা কোন কার্যকরী সভা করতে পারেননি তাই তাদের কমিটির বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনোয়ার হোসেন জানান, ওই বিদ্যালয়ে বৈধ কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন বিল আমি স্বাক্ষর করেছি। পরে আমি শুনেছি অক্টোবর মাসের বিল দেয়া হলেও নভেম্বর মাসের বিল বন্ধ করা হয়েছে।