বিক্রেতাদের দ্বন্দ্বে কৃষকরা সার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত

চাষাবাদ ব্যহৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সার অন্যত্র পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাটরা বাজারে বিএডিসি অনুমোদিত সার বিক্রেতা মঙ্গল হালদার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দাম রাখায় খুচরা বিক্রেতারা তার কাছ থেকে সার না নিয়ে অন্যস্থান থেকে কমমূল্যে সার এনে তাদের ইচ্ছেমত বিক্রি করছে। বুধবার সকালে সার বিক্রি নিয়ে খুচরা বিক্রেতা যতীন, বিমল ও রমণীর সাথে সাব-ডিলার মঙ্গল হালদারের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া সৃষ্টি হয়। মঙ্গল হালদার কৃষকদের কাছে খুচরা সার বিক্রি না করে অন্যত্র পাচার করায় কৃষকরা জমিতে সার প্রয়োগ করতে পারছেনা বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।

বিক্রেতাদের এই দ্বন্দ্ব ও খামখেয়ালীপনার কারণে কৃষকরা চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ঠিকমত চাষাবাদ করতে পারবেনা বলে আশঙ্কা করছে। ফলে ইরি-বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ কৃষকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, অন্য উপজেলায় বিএডিসি’র সার বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই। করলে তার বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুচরা অবৈধ বিক্রেতারা সার বিক্রি করতে পারবেনা। ডিলারদের অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।