মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন বরিশালের ৫ মুক্তিযোদ্ধা

আমি অংশ গ্রহন করেছিলাম। আমার জীবনে আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই। ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি স্বাধীন দেশ,লাল সবুজের পতাকা ও একটি ম্যাপ উপহার দিতে পেরেছি। আমি পরাধীনতার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করছি। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন বরিশাল সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক ফরাজি (মুক্তি নং ৪৮৮)।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দুই হাজার টাকায় বর্ধিতকরন করেছেন। এই বর্ধিতকরনের টাকা পেয়ে অনেক অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এখন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারছেন। এরকমই একজন হলেন আঃ খালেক ফরাজী। তিনি এ টাকা প্রথম পেয়ে আনন্দে কেঁদেছেন। তিনি বলেছেন আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হওয়ার কারনেই মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকুরীর জন্য আলাদা কোঠাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সদ্য মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদেরও সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা ঘোষনা করেছে সরকার।

আঃ খালেক ফরাজীর ন্যায় বিশেষ করে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা দুই হাজার টাকা ভাতা পেয়ে আনন্দের হাসি হেসেছেন। এরমধ্যে রয়েছে বরিশাল নগরীর আমিরগঞ্জের  জুলমত খাঁ (মুক্তি নং-৪২০),কাউনিয়া প্রধান সড়কের মোকলেছুর রহমান (মুক্তি নংÑ৭৪৪),শাস্তোবাদের উত্তর চরআইচা এলাকার মোঃ আবদুল খালেক (মুক্তি নং-৪৯৫), শায়েস্তাবাদ চরআইচার আয়নাল দফাদার (মুক্তি নং৪৪৮)। মুক্তিযোদ্ধা জুলমত ও আয়নাল দফাদার বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় বর্ধিতকরনের কথা সম্প্রতি ঘোষনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। নতুন করে এই ঘোষনায় মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দিত বলে তারা মন্তব্য করেন।