আগৈলঝাড়ার অনুমোদনহীন সার বিক্রেতারা বেকায়দায়

অনেক ক্ষেত্রেই আগৈলঝাড়ায় এই আইন কার্যকর হচ্ছেনা। অনুমোদনহীন ডিলাররা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যে যার মত সার বিক্রি করে চলছে। যে কারনে খুচরা ডিলাররা সরকারী কোষাগাড়ে আমানত জমা দিয়ে খেশারত গুনতে হচ্ছে। অভিযোগ ও সরেজমিনে জানাগেছে উপজেলার বাটরা বাজারের খুচরা ডিলার মঙ্গল চন্দ্র হালদার স্থানীয় চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত পরিমান সার মজুদ করে কৃষকদের চাহিদা পূরন করা স্বত্বেও ঐ বাজারের ব্যাবসায়ী যতীন্দ্র নাথ হালদার ও রমনী বাড়ৈ অনুমোদন বিহীন সার বিক্রি করছে। তাদের এ কাজে বাধা আপত্তি জানালে খুচরা ডিলার মঙ্গল হালদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে সার বিক্রয়ে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সরেজমিন ঐ এলাকার কৃষক হাসেম গাজী, ললিত হালদার, অজিৎ বৈদ্য, বিনয় বালা, বিভূতি হালদার, রানা হালদার সহ একাধিক কৃষক জানান বিগত সময়ে সার সংকট থাকলেও চলতি বছরে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। কৃষকরা জানান এ বছর সারের আমদানী সঠিকভাবে পাওয়ায় ধানের পরিচর্যা সহ বামপার ফলনের আশা করছে তারা।

অ-অনুমোদিত ব্যাবসায়ীদের সার বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ বলেন প্রমান পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যাবস্থা নেব। আগৈলঝাড়া খুচরা ডিলার ঐক্য ফোরামের সভাপতি এয়ার ফারুক বক্তিয়ার সম্পাদক দুলাল কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান অনুমোদনহীন ডিলারদের বিক্রয়ের কারনে অনুমোদিত ডিলাররা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। অপরদিকে বিসিআইসি ডিলাররা নির্ধারিত কমিশনে খুচরা ডিলারদের সার  সরবরাহ করার কথা থাকলেও বেশী দামে বিক্রয় করায় খুচরা ডিলাদের আরেক ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। শুধু বাটরা বাজারেই নয় উপজেলার আস্করকালীবাড়ী, সাহেবেরহাট, রাজিহার, বাশাইল, বাহাদুরপুর, পয়সারহাট, ছয়গ্রাম সহ বিভিন্ন  স্থানে অনুমোদনহীন ডিলাররা বেপরোয়াভাবে সার বিক্রি করায় অনুমোদিত ডিলাররা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।