চলতি মাসেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধনের পরপরই জনসাধারনের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে। যোগাযোগ সচিব মোজাম্মেল হক গতকাল রোববার সেতুটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বেলা ১২ টায় তিনি সরেজমিন সেতু পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্যা হেল বাকী, নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুল হক খান ও সেতু নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে যোগাযোগ সচিব মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সেতুর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প কিছু কাজ যা বাকী রয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। নির্মান কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রিপোর্ট প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী তার সফরের দিনক্ষন নির্ধারণ করলেই সেতু উদ্বোধন করা হবে। তিনি কোন নির্ধারিত তারিখ না জানালেও চলতি মাসেই এর উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান। ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর উপর এই সেতুর নির্মান কাজ শুরু করা হয়। সেতুটি দৈর্ঘ্যে ১ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। সেতুটিতে মোট ৩৩টি পিলার এবং ৩৪টি ¯প্যান রয়েছে। ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় ১ বছরের জন্য সেতুটির ইজারার দায়িত্ব পেয়েছে এইচটিএল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।