ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ॥ ভাংচুর

সকালে বরিশাল নগরীতে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সিটি কর্পোরেশনের একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়ায় সদর রোড ও তার আশপাশ এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার হস্তক্ষেপে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ নিয়ে পুরো নগরীতে উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তজনা বিরাজ করছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে ছাত্রলীগ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা থেকে মিছিল সহকারের নগরীর সদর রোডের সোহেল চত্তরে এসে জমায়েত হয়। বেলা ১১টার দিকে  হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ক্যাডার ও বিসিসি’র মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ঘনিষ্ঠ সহচর বাপ্পী ও তার সহযোগীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পলিটেকনিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে মারধর করে। এ ঘটনার কিছুক্ষন পর রাজ্জাক তার ২৫/৩০জন সহযোগীদের নিয়ে বাপ্পীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় রাজ্জাক সমর্থকরা রামদা, ছুড়ি, হকিস্টিক প্রর্দশন করে বাপ্পী ও তার সহযোগীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রলীগের কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় রাজ্জাক সমর্থকরা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ময়লাবহনকারী নতুন একটি গাড়ি ভাংচুর করে। উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিবদমান দু’গ্রুপকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিনি ব্যর্থ হলে পুলিশকে উশৃঙ্খলকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করে তিন জনকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ছাত্রলীগ একটি বড় সংগঠন। এতে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। এ অপ্রতিকর ঘটনা দু’গ্রুপের সংর্ঘষ বললে ভুল হবে। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যকার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। পুরো নগরীতে এখন শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও তিনি দাবি করেন।