প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে সশস্ত্র ডাকাত দল। ডাকতদের হামলায় গুরুতর অহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি শাহীন আহম্মেদের (৩০) অবস্থা আশংকাজনক। দুর্ধর্ষ এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের সৈয়দ কুটিরে সোমবার ভোর রাতে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার আসলাম খান, অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ কুটিরের স্বজন স্বপন চৌধুরী জানান, বাড়ির মালিক হায়দার মিয়ার ছোট কন্যা রিপার বিয়ে উপলক্ষে অনান্য স্বজনদের ন্যায় সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড থেকে আসেন কনের ছোট খালা পুতুল বেগম, তার দু’পুত্র ও পুত্র বধূরা। আর সুইডেন থেকে বিয়েতে যোগ দিতে এসেছেন কনের বড় বোন সুমা, লুনা ও লুনার স্বামী ইকবাল হোসেন। এদিকে রবিবার রাত সাড়ে ১২ টায় হায়দার মিয়ার শ্বাশুড়ি নুরজাহান বেগম মারা যান। সোমবার রাতে নূরজাহান বেগমের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করে সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩ টার দিকে ১৫/২০ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে মালামাল লুট করতে থাকে। এ সময় গৃহকর্তা হায়দার মিয়ার এক আত্মীয় শাহীন আহম্মেদ ডাকাতদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ডাকাতরা নগদ ৫ হাজার ডলার, ৬৭ ভড়ি স্বর্নালংকার, ২০টি দামি মোবাইল সেট, ২টি ল্যাপটপ, ৫টি ক্যামেরা, দামি কাপড়, কসমেটিকসহ প্রায় ২ কোটি টাকার বিভিন্ন মালামাল লুটে নিয়েছে। ডাকাতদের হামলায় আহত শাহীনকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার আসলাম খান জানান, ডাকাতির ঘটনায় তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাতির কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে ডাকাতদের সনাক্ত করতে বেশ সুবিধা হবে। ইতিমধ্যেই ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। নগরীর মধ্যে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।