বরযাত্রীদের বখাটেদের হামলায় ২০ জন আহত

ওপর বখাটেদের হামলায় বর-কনেসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় বরযাত্রীবাহি দুটি গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করেছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকুপি গ্রামের মৃত মোক্তার আলী সিকদারের পুত্র আনোয়ার হোসেন সিকদারের (২৬) সাথে গতকাল শুক্রবার চরদিয়াশুর গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের কন্যা আরজু খানমের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সেমতে ওইদিন দুপুরে ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে বরপক্ষ কনের বাড়িতে যায়। সেখানে বর পক্ষকে আপ্যায়ন শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কনে নিয়ে বরযাত্রীরা নসিমন ট্রলার ও ঈজিবাইক (অটো রিকসা) যোগে বরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে খান বিক্স নামকস্থানে বরযাত্রীদের গাড়ি পৌঁছলে স্থানীয় বখাটে যুবক আমিনুল ইসলাম, দুলাল হোসেন ও রানাসহ ১০/১৫ জন যুবক বরযাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। এসময় টাকা কম দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই যুবকদের সাথে বরযাত্রীদের বাকবিতন্ডা বাঁধে।

এক পর্যায়ে বখাটে ওই যুবকরা লাঠিসোটা নিয়ে অর্তকিত ভাবে বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বর আনোয়ার হোসেন সিকদার (২৬), কনে আরজু খানম (১৯), বরযাত্রী হাবিব সরদার (৩২), ছিন্টু সরদার (২৭), মালেক সরদার (৩১), জুরুল সিকদার (১৮), খালেক সরদার (৪০), সাইদুল মোল্লা (২২), ইউসুব হোসেন মোল্লা (২৪), মনির হোসেন মোল্লা (২২), ড্রাইভার মজিবর রহমান (৩০), ইসমাইল হোসেন (২৫)সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। বখাটেদের অর্তকিত হামলার এক পর্যায়ে বরপক্ষ আহত কনে আরজু খানমকে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। গুরুতর আহতদের গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বর পক্ষের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কালাম প্যাদা (২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।