দু’শ টাহা মজুরি পাইয়া ভোট চাইতে আইছি

কাজ না কইরা বাড়ি বাড়ি ঘুইরাই যদি তার চেয়ে বেশী টাহা পাওয়া যায় তাতে দোসের কি আছে। ২০০টাহা মজুরি পাইয়া ভোট চাইতে আইছি’ জানালেন এক মেয়র প্রার্থীর ভোট চাইতে আসা ৫/৬জন যুবক। গতকাল শুক্রবার সকালে চরবিভাগদী গ্রামে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে গেলে কথা হয় তাদের সাথে। তাদের বাড়ি কালকিনি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে। যে সময় যা কাজ পান তা করেই সংসার চলে। তারা বলেন, ‘১০দিন ধইরা কাজ করি না। বাড়ি বাড়ি যাইয়া চেয়ারম্যানগো (মেয়র প্রার্থীদের) মার্কার ভোট চাই। এই কাজে নগদ টাহা পাইয়া মোরা খুশি। যে টাহা দেয় তার জন্যই মোরা ভোট চাইতে নাইম্যা পড়ি’।

জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী  উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি খায়রুল আলম খোকন বেপারী, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন মুন্সি ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মেয়র পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। বসে নেই সাধারণ কাউন্সিলর ও মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থীরাও। ৪২জন প্রার্থী, দল ও সমর্থকেরা রাত-দিন ২৩হাজার ৮শ’৩৪জন ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন যে যার মতো করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে ভাড়া করে পাঠানো হচ্ছে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে।

মিনাজদী গ্রামের কবির খাঁ বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ডিউটি করলে (ভোট চাইতে গেলে) বিকাল ৫টা প্রর্যন্ত গ্রামে ঘুরতে হবে। আবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু করলে রাত ১২টা প্রর্যন্ত ডিউটি। কোনো প্রার্থী ২০০টাকা, কেউ আবার ৩০০টাকাও দেয়। তবে মেম্বারদের চেয়ে চেয়ারম্যানদের কাজ করলে বেশী টাকা পাওয়া যায়’।

সুত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধিতায় মোট ৪২জন প্রার্থীর এক হাজারেরও বেশী ভাড়া করা সমর্থকেরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। ৫/৬জন করে এক একটা দল বানিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রতিদিন রাত-দিন পাঠিয়ে দেন প্রার্থীরা।