মশার উপদ্রপে দিনের বেলায়ও ঘর থেকে শুরু করে দোকান পাটসহ চায়ের স্টলে বসে দু’কাপ চা খাওয়ারও উপায় নেই। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে অনেকেই ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে অথবা মশারী ব্যবহার করে সময় পার করছেন। তবে সবচেয়ে অবর্ণনীয় অবস্থায় রয়েছে এলাকার ভাসমান মানুষেরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গৌরনদী উপজেলার অধিকাংশ নালা নর্দমা, ডোবা ও ড্রেন অবর্জনায় পরিপূর্ণহওয়ার ফলে এসব নালা-নর্দমা ডোবা মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ঝাকে ঝাকে মশা ছুটে আসছে ঐ নালা নর্দমা ডোবা ড্রেন অবর্জনার স্তুপ থেকে। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে দিনের বেলায় অফিস, আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ্যারোসেল স্প্র ও কয়েল জ্বালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ এসবেও মশার উপদ্রপ কমছে না। মশার অত্যাচারে এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছে মহাবিপাকে। দীর্ঘকাল থেকে গৌরনদী উপজেলার কোথাও মশক নিধন না হওয়ায় মশার কামড়ে এলাকার মানুষের দূর্ভোগের কোন শেষ নেই। অন্য এক তথ্যে জানা যায় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও গেদসহ বিভিন্ন প্রকার রোগের জীবানু মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশী।
শুধু কি তাই দিনের বেলায় মশার সাথে যুক্ত হয়েছে মাছি। এদের অত্যাচারও কম নয়। আর রোগ জীবানু ছড়াতে মশা মাছি দু’জনেই সমান পারদর্শী। তাই ভুক্তভোগীদের অনেকেই চায় পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ একটু নজর দিলেই হয়তোবা এদের অত্যাচার কিছুটা হলেও কমে যেত। মশক-মাছি নিধন উৎপাদন এলাকায় সরকারী ভাবে ব্যবহার করা হলে মশা-মাছি যেমন কমতো অপরদিকে স্বস্তি পেত গৌরনদীবাসী।