গতকাল শুক্রবার সকালে আহছান উল্লাহর বাড়ির কৃষক পরামর্শ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা হয় ম্যাজিক ওয়াটার ব্যবহারকারী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আঃ রশিদ হাওলাদার ও আগৈলঝাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বি.এম খলিলুর রহমানের সাথে।
তারা জানান, ইঁদুর প্রতিরোধে ইতোমধ্যে কৃষকরা ম্যাজিক ওয়াটার ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেয়েছেন। কৃষকদের চাহিদা পূরনের জন্য তারা পূর্ণরায় ম্যাজিক ওয়াটার নেয়ার জন্য ওই বাড়িতে এসেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, ম্যাজিক ওয়াটার ইঁদুর প্রতিরোধে কার্যকরি একটি পদ্ধতি।
ম্যাজিক ওয়াটারের উদ্ভাবক কৃষক আহছান উল্লাহ জানান, প্রতিবছর ইঁদুর শত শত কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি ইঁদুর প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘদিন থেকে গবেষনা চালিয়ে ভেষজ পদ্ধতিতে ম্যাজিক ওয়াটার উদ্ভাবন করেন।
ম্যাজিক ওয়াটার একটি তরল ভেষজ পন্য। ইঁদুর আক্রান্ত এলাকায় তরল পদার্থ ম্যাজিক ওয়াটার মাটির সাথে মিশিয়ে অথবা ফোমে ভিজিয়ে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় রাখা হলে সে এলাকায় কিংবা জমিতে ইঁদুর আক্রমন করে না। অল্পদিনেই এ ম্যাজিক ওয়াটার কৃষকসহ সাধারন মানুষের মাঝে সারা পেয়েছে।
ম্যাজিক ওয়াটার নিতে আসা আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের কৃষক শান্তি কীত্তনিয়া জানান, তার সবজি ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ম্যাজিক ওয়াটার নিয়ে র্নিধারিত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে ইঁদুরের আক্রমন থেকে তিনি সবজি ক্ষেতকে রক্ষা করতে পেরেছেন। ফলে তিনি অন্য জমিতে ব্যবহারের জন্য পূর্ণরায় ম্যাজিক ওয়াটার নিতে এসেছেন।
ম্যাজিক ওয়াটার ব্যবহারকারি আব্দুস ছালাম, জামাল আকন, সমীর গুপ্ত, শাহ জালাল, আলী আজগর বিশ্বাস, শাহ আলমসহ একাধিক কৃষক জানান, ম্যাজিক ওয়াটার ব্যবহারে ইঁদুরের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় খুব সহজে। আর এর খরচও কম এবং পরিবেশ বান্ধব।
কোন ধরনের পৃষ্টপোষকতা ছাড়াই দীর্ঘদিন থেকে গবেষনা চালিয়ে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী আহছান উল্লাহ আক্ষেপ করে বলেন, সরকারি অনুমোদনসহ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বানিজ্যিক ভাবে ইঁদুর প্রতিরোধক “ম্যাজিক ওয়াটার” তৈরি করা সম্ভব হবে।
খোকন আহম্মেদ হীরা