বরিশালের ১৯ পৌরসভায় নির্বাচন আজ

এসব পৌরসভায় ৮৩ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরমধ্যে মহাজোটের ৪২ জন, চারদলীয় জোটের ২৭ জন ও স্বতন্ত্র ১২ জন। প্রার্থীদের মধ্যে বরিশাল জেলার ৫ টি পৌরসভায় ২০ জন। ভোলার ৪ টি পৌরসভায় ১৪ জন। পটুয়াখালীর ২ টি পৌরসভায় ৮ জন। বরগুনার ৪ টি পৌরসভায় ২৩ জন। পিরোজপুরের ৩ টি পৌরসভায় ১১ জন এবং ঝালকাঠীর ১ টি পৌরসভায় ৭ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এছাড়াও এসব পৌরসভায় ৮৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরমধ্যে ৬৬৯ জন সাধারন ও ২০৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী। কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিএনপির একজন করে প্রার্থী থাকলেও মহাজোটের রয়েছে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ১৯ টি পৌরসভার ২২৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে একজন করে অতিরিক্ত অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য থাকবে। অন্যান্য ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী পাঁচজন করে পুলিশ, দুইজন আনসার এবং লাঠিসহ ৬ জন করে মহিলা ও পুরুষ আনসার ভিডিপির সদস্যরা অবস্থান করবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে চার প্লাটুন সেনা সদস্য, এক প্লাটুন কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী এক প্লাটুন এবং র‌্যাবের ১৫টি দল। চার প্লাটুন সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে ভোলা সদর, লালমোহন, পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়ায়। মুলাদীতে থাকবে কোস্টগার্ড এবং পাথরঘাটায় থাকবে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড। জেলা নির্বাচন অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, মুলাদী, বানারীপাড়া, গৌরনদী, মেহেন্দীগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় ভোটার অনুযায়ী ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি  ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিভাগের ঝালকাঠি সদর ও ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভায় নির্বাচন হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। এছাড়া বিভাগের পটুয়াখালীর গলাচিপা ও বাউফল পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে না।