রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত লঞ্চ শ্রমিকের নাম হাকিম হাওলাদার (৫৫)। সে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের দরানপুর গ্রামের মৃত আফসার হাওলাদারের পুত্র।
নিহতের ভাগ্নে হেলাল উদ্দিন জানায়, তার মামা হাকিম হাওলাদার বরিশাল-চরকলমি রুটের সোনালী-১ লঞ্চের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের সাথে তার মামা হাকিমের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরজের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় নিহতের ছোট পুত্র রাকিবকে (১৪) প্রতিপক্ষের লোকজনে মারধর করে। এ সময় নিহতের কন্যা শামিমা (১৯) ও স্ত্রী জায়েদা বেগম (৪২) রাকিবকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজনে তাদেরকেও মারধর করে। কর্মস্থল থেকে ফিরে এ ঘটনা জানতে পেরে ওইদিন রাতেই হাকিম হাওলাদারের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে আসামিরা তাকেও বেদম মারধর করে। জ্ঞানশূণ্য অবস্থায় স্থানীয়রা লঞ্চ শ্রমিক হাকিমকে উদ্ধার করে ওইদিন রাতেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে হাকিম হাওলাদার মারা যায়।
হত্যার ঘটনায় নিহত হাকিমের স্ত্রী জায়েদা বেগম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে গতকাল বুধবার বিকেলে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে- আইযুব আলী হাওলাদার, তৈয়ব আলী হাওলাদার, কাদের হাওলাদার, শাহীন, সুমন, সবুজসহ ১০ জন।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রবিউল হক জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।