গৌরনদী ও মেহেন্দীগঞ্জে বিএনপির নির্বাচন বর্জন

ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়ায় বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার চারদলীয় জোটের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম নুর আলম হাওলাদার-আনারস প্রতীক নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। তার এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষনার পর পরই বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে থাকা তার এজেন্টরা বেরিয়ে যায়। অপরদিকে ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সাহাবুদ্দিন হিমু-দেয়াল ঘড়ি প্রতীক। 

 
নুর আলম হাওলাদারের অভিযোগ তার নির্বাচনী বুথে থাকা এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোট দিতে বাঁধা প্রদান ও তার সমর্থকদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলা করায় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় পৌর এলাকার কসবা গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি (নুর আলম হাওলাদার) নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রুহুল আমীন তালুকদারসহ ৪/৫ জন সমর্থকদের ওপর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটার দিকে টরকী হাইস্কুলের নির্বাচনী কেন্দ্রে বসে হামলা চালিয়ে আহত করে মহাজোট প্রার্থীর সমর্থক সফিকুর রহমান রেজাউল সিকদার। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রেজাউল সিকদার বলেন, হামলা নয় চারদলীয় জোটের মেয়র পদপ্রার্থীর ভাড়াটিয়া ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেয়ায় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মহাজোট মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ হারিছুর রহমান হারিছের সাথে যোগাযোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, চারদলীয় জোটের প্রার্থী নির্বাচনে তার নিশ্চিত পরাজয়ের কথা ভেবে মিথ্যে অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। 

বিএনপির মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে রির্টানিং অফিসার ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। পৌরসভার ১৩ টি কেন্দ্রে অবাদ সুষ্ট ও শান্তি পূর্ন ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে সকাল সাড়ে আটটায় টরকী বন্দর বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের মাঠে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও বুলবুল দেওয়ানের মধ্যে, বানারীপাড়া পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা বহিরাগত সন্দেহে গৌরনদীর কাসেমাবাদ ভোট কেন্দ্র থেকে ইমন খান (২০), আমিনুল ইসলাম (২৯), শহিদুল ইসলাম (২৬), মুক্তার হোসেন (২৬), ইমরুল ফকির (২০), মিন্টু সিকদারকে (২১) আটক করে গৌরনদী থানায় সোর্পদ করেছে।

বিছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বরিশালের গৌরনদী, বানারীপাড়া, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী ও বাকেরগঞ্জে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিক শীতের কারনে সকাল দশটায় পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলাবাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভীড় বেরে যায়।