পদবী রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে ভিলেজার হেডম্যান উক্যজাই মার্মা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বন বিভাগের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণায় নেমেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মাতামুহুরী রেঞ্জের ভিলেজার হেডম্যান অবৈধভাবে বন বিভাগের ৭০ একর সরকারী ভূমি জবর দখল করে তামাক চাষ করে আসছে। সম্প্রতি স্থানীয় মুরুংরা তথাকথিত এই হেডম্যানের বিরুদ্ধে লামা বন বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তৃক আলীকদম থানায় একটি জিডি অন্তর্ভূক্ত করেছে। যার নং- ১৮২। এরপর থেকে ভিলেজার হেডম্যান তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগের বিকল্প হিসেবে মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্থানীয় মুরুংদের বিরুদ্ধে একটি কল্পিত অভিযোগ তৈরী করে বাবু পাড়ার উচাথোয়াই মার্মা কার্বারীকে দিয়ে নানা মহলে সরবরাহ করে চলেছে। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ভিলেজার হেডম্যান হওয়া সত্ত্বেও উক্যজাই মার্মার অপতৎপরতা যেন ‘চালুনি কয় সূচ ভাই তুমি বড়ই ফুটা’!
মুরুং অধিবাসীরা জানায়, মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ যোগদানের পর থেকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপজাতীয় ভিলেজার ও উপকারভোগীদের নিয়ে মতবিনিময় শুরু করেন। এসব মতবিনিময়ে মুরুংরা তথাকথিত ভিলেজার হেডম্যান উক্যজাই মার্মার নানা অনিয়মের চিত্র বন বিভাগের নজরে আনেন। এসব অভিযোগ উঠার পর হেডম্যান তা ধামাচাপা দিতে উল্টো মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেডম্যান পদবী মুরুংদের নিকট বিক্রির কাল্পনিক অভিযোগ তুলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ প্রেরণ করে চলেছে।
যোগাযোগ করা হলে মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, উক্যজাই মার্মা কোন বৈধ হেডম্যান নয়। সে তার নানার বদলে ভারপ্রাপ্ত হেডম্যান হিসেবে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সম্প্রতি থানায় জিডি করা হয়েছে। এরপর থেকে হেডম্যান নানা মিথ্যাচার করে বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।