কর্মকর্তা ও পুলিশের সহযোগীতায় জাল ভোট দেয়ার ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ২ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী সোমাবার রাতে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জাল ভোটের তদন্ত করে পুনঃ নির্বাচন দাবী করেছেন।
শ’শ’ ভোটারের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আরমান হোসেন বেল্লাল ও শিলা বেগম বলেন, ক্রমিক নং ২৩৫ ভোটার একবার ভোট দিয়ে গেলেও অন্য একজন ফের ঐ ভোট দিতে এলে এজেন্টদের হাতে ধরা পড়ে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের কাছে বিষয়টি বললে পুলিশ তাৎক্ষনাত জাল ভোটকারীকে ছেরে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাউন্সিলর প্রার্থী অলিল হাওলাদারের এজেন্ট ফজলুল হককে জালভোটকারীকে সহযোগীতার অভিযোগে কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে চাইলেও পরে আর দেননি। বিকাল ৩টার সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের সহযোগীতায় ঐ এজেন্ট ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়করে আমার এজেন্ট মেহেদি হাসান, কুদ্দুস ফকির ও আসমা বেগমকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এর পরই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের সহযোগীতায় ব্যাপকহারে জালভোট প্রদান করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানকরে জানা গেছে, যেসমস্ত ভোটার মারা গেছে এবং দুররান্ত থাকার কারনে ভোটের দিন উপস্থিত থাকতে পারেনি তাদের ভোটও জালভোটকারীরা প্রদান করেছে। ৪নং ওয়ার্ডের চরবিভাগদি গ্রামের হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী মায়া বেগম ২নং ওয়ার্ডে ভোট প্রদান করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে’।