বাকেরগঞ্জের পৌর ৩নং ওয়ার্ডে পুনঃনির্বাচনের দাবি

ফলাফল প্রত্যাখান করে কাউন্সিলর পদে পুনঃনির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন পরিদর্শনে এলাকাবাসী জানায়, গত ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদী মাসুদ ঘুষের বিনিময়ে ভোট কারচুপি করে ফুটবল প্রতীকের মনিরুজ্জামান সিকদার জামালকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত করতে সহায়তা করেছেন। ভোট গ্রহন শুরুর পূর্বেই দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদী মাসুদ সকল কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, গোপাল চন্দ্র সাহা, তপন কুমার দে সুধীরের পোলিং এজেন্ট আনিসুর রহমান, মুন্নি সাহা ও মাধবী রানী জানান, নির্বাচনের দিন ৮টায় উপজেলা সেনেটারী অফিস তথা অংকুর কিন্ডার গার্টেনে ভোট গ্রহন শুরু হয় এবং বিকেল চারটায় ভোট গ্রহন শেষে তিনটি বুথের ভোট বাক্সগুলি বিল্ডিং এর দোতালায় নেওয়ার সময় প্রিজাইডিং অফিসার পুলিশ ও আনসারদের সহায়তায় তাদের রাস্তায় নামাইয়া বিল্ডিং এর কলাপসিবল গেট আটকাইয়া দেয়। কাউন্সিরর প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ও তপন কুমার দে সুধীরের সাথে আলাপকালে তারা জানান, নির্বাচনের দিন সাধারন ভোটারগন ভোট পুনঃরায় গননার জন্য প্রতিবাদ মুখর হইলে তখন প্রিজাইডিং অফিসার এর নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারন ভোটারদেককে ধাওয়া করিয়া তাড়াইয়া দেয়। কাউন্সিরর প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহন শেষে প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরিয়া প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগন (তপন কুমার দে সুধীর-আপেল, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন-মোরগ, গোপাল চন্দ্র সাহার-হরিণ) প্রতীকের উপর সিল দেওয়া ব্যালট সমূহ গোপনে অপসারন করে নতুন ব্যালটে মনিরুজ্জামান সিকদার জামালের ফুটবল প্রতীকে সিল দিয়ে ভোট বাক্স ভরিয়া তাদের পোলিং এজেন্টদের সম্মুখে খুলিয়া গননা করে।

 

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিরর প্রার্থী তপন কুমার দে সুধীর জানান, ৩নং ওয়ার্ডে মোট ৭৬৮ ভোটের মধ্যে ৬৫৬ ভোট কাস্ট হয়। কিন্তু বাকী ১১২টি ব্যলটের কোন হদিস নেই। উক্ত ব্যালট সমূহের বই নম্বর ও পৃষ্ঠা নম্বর, ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ও উদ্ধৃত্ত ব্যালট পেপার ইত্যাদি পুনঃগননা, পরীক্ষা নিরীক্ষা, ঘটনা তদন্ত ও ন্যায় বিচার সাপেক্ষে নির্বাচনের ফলাফল সরকারী ভাবে ঘোষনা স্থগিত এলাকাবাসীর প্রানের দাবি বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভোটার কালাচান নট্র, অশোক হাজরা, তাপস সাহা, ইউনুস মিয়া, সদানন্দ সাহা, ফেরদৌসির সাথে আলাপকালে তারা জানান, ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পৌরসভার কাউন্সিলর পদের নির্বাচনে যে প্রার্থীর ৪র্থ অবস্থানে থাকার কথা সে কিভাবে প্রথম হল? তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভোট পুনঃঘননা সাপেক্ষে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী জানান। কাউন্সিলর প্রার্থী গোপাল চন্দ্র সাহার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ৩নং ওয়ার্ড ভোট কেন্দ্রে কর্মরত প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগন মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কাউন্সিলর প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের মনিরুজ্জামান সিকদার জামালের পক্ষে ব্যালট পেপারে ভোট কারচুপি করিয়াছে এবং এলাকাবাসীর ভাগ্য নিয়ে ন্যাক্কারজনক ছিনিমিনি খেলিয়াছে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে উপরে উল্লিখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে  পুনঃনির্বাচনের জানিয়েছেন।