তরুণীকে বিদেশীর সঙ্গে বিয়ে-প্রতারণা

প্রতারণাসহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (১) অভিযোগ করা হয়েছে। মেয়েটির পক্ষে এডভোকেট নুর হোসেন বৃহস্পতিবার এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া বাজারের সিরাজুল হক হাওলাদারের পুত্র মাসুদুল হক এনামকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালতের বিচারক ফারুক আহাম্মদ রাজাপুরের উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ওই মেয়েটি কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামের নানাবাড়িতে বড় হয়। অন্যদিকে, আসামি এনাম দীর্ঘ দিন সৌদি আরবে চাকুরি করে। মাঝে মাঝে দেশে ফিরে আসে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশী মেয়েদের বিদেশীদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার নাম করে ফায়দা হাসিল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। সে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মেয়েটির ‘বিয়ের ব্যবস্থা’ করে।

২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী আনম আনছার উদ্দিন সরদারের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে ‘সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের সাহেব দাদ হুজলার পুত্র জয়নুল আবেদীন’ নাম করে একজনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেয়া হয়। মাসুদুল হক এনাম এতে বরপক্ষের সাক্ষী থাকে। পরে ‘বর’ মেয়েটির মাকে ঘর তোলার জন্য তিন লাখ টাকা ও কনেকে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার দেয়-যা এনামের কাছে জমা থাকে। এরপর স্বামী-স্ত্রী বরিশাল ও ঢাকার হোটেলে ৪ দিন অবস্থান করে। পরে ‘জয়নুল আবেদীন’ সৌদি আরব ফিরে যায়। এরপরে আসামি এনামও দেশ ত্যাগ করে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও জয়নুল আবেদীনের পুরো পরিচয় দেয়া হয়নি এবং এ নিয়ে টালবাহানা করা হয়। কিছুদিন আগে এনাম দেশে ফিরে আসে এবং মেয়েটিকে দেখা করতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারি দুপুর বেলা মেয়েটি গালুয়া গেলে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এনাম তাকে ধর্ষণ করে। টাকা ও স্বর্ণালংকার তাকে ফেরৎ দেয়া হয়নি।