ছুটছে। পেরে উঠতে পারছেনা সাধারণ মানুষ। খোলাবাজারে ন্যায্য মূল্যে চাল পেতে ওএমএস ডিলারের দোকানে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। অনেকে পিছন দিক থেকে দীর্ঘ লাইন পেরিয়েও চাল না পেয়ে হন্য হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন।
খাদ্য বিভাগ জানায়, সরকারী ভাবে উপজেলায় চলতি মাসের ২রা ফেব্রুয়ারী থেকে খাদ্য বিভাগ ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে ৫দিন করে ওএমএস ডিলাররা খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছেন। মাথাপিছু ৫কেজি করে চাল পাচ্ছেন ভোক্তারা। যার প্রতি কেজি চালের মূল্য ২৪ টাকা হারে সরকারী ভাবে নির্ধারিত। বর্তমানে ৫জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫হাজার কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে ৭জন ডিলার ছিলেন বলে খাদ্য বিভাগে সংশ্লিষ্টর জানিয়েছেন।
সুত্র আরো জানায়, খাদ্য বিভাগে নিয়োজিত ডিলাররা হলেন আলীকদম বাজারে মঞ্জুর আলম ও সাইফুল ইসলাম, পানবাজারে মংক্যচিং তঞ্চঙ্গ্যা, বাস ষ্টেশনে জিয়াবুল হক এবং রেপাড় পাড়া বাজারে রফিকুল ইসলাম। এসব ডিলাররা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ন্যায্য মূল্যে খালা বাজারে চাল বিক্রি করছেন। খাদ্য বিভাগ প্রতিদিন ব্যাপক হারে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করেও বাজার মূল্যে এর কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিমত। তাদের মতে, গুটি কয়েক পুঁজিবাদী মজুদধারী ব্যবসায়ীর কারণে আলীকদমে চালের বাজার সবসময় অস্থিতিশীলতা বজায় থাকে। তবে প্রশাসন একটু সজাগ হলে চালের বাজারে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা আসত বলে তারা মত প্রকাশ করেন। স্থানীয় ভাবে চালের বাজার উঠানামা নিয়ন্ত্রক হলেন এ গুটি কয়েক ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল না হতে ডিলারদের দোকান লোকেলোকারণ্য হয়ে উঠে। নারী পুরুষ আলাদা সারিবদ্ধ লাইন। কিশোর থেকে ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধরাও দাঁিড়য়ে আসেন লাইনে। যেন ভোট দানের কোন ভেটারদের দীর্ঘ লাইন। বিক্রি শেষ হযে যাওয়ায় আবার অনেকে চাল না পেয়ে হতাশ। খালি হাতে বাড়ী ফিরা লোকের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভীড় বাড়ছে ডিলারদের দোকানে। বাজারে চালের মূল্য উর্দ্ধগতিতে ছুটছে লাগাম হীন ঘোড়ার মত। কোন মতে পেরে উঠতে পারছেনা সাধারণ মানুষ।
পানবাজারের ওএমএস ডিলার মংক্যচিং তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আগে এত বেশী গ্রাহক ছিলেন না। এখন দোকান না খোলার আগে মানুষের ভীড় সামলাতে হয়। দুপুর না হতে শেষ হয়ে যায় এক হাজার কেজি চাল। তিনিও বলেন, অনেকে চাল না পেয়ে বাড়ী ফেরা কথা। স্কুল শিক্ষক বেলাল আহমদ বলেন কিছু কিছু ডিলারের এলাকায় জনবহুল। তাই লোকসংখ্যা অনুপাতে ডিলারের চাহিদা ও প্রাপ্তি পূনঃ বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যক ডিলারকে প্রতিদিন ১হাজার কেজির স্থলে ৫শ কেজি বাড়িয়ে ১হাজার ৫শ কেজি বরাদ্দ করা হলে চালে বাজারে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে সচেতন মহলের অভিমত। তবে খাদ্য বিভাগও এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।