কালকিনিতে বিরোধপূর্ণ জমি পেতে!

দ্বারে দ্বারে ঘুরে আজ উভয়পক্ষই ক্লান্ত। জমি পেতে ইতোমধ্যে জমির মূল্যের চেয়েও কয়েকগুণ বেশী টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। এখন উভয়পক্ষই চায় উক্ত জমি নিয়ে বিরোধের সুষ্ঠু সমাধান ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউপির ১০৫নং চরফতেবাহাদুর মৌজায় সাবেক ২৪১৩ ২নং খতিয়ানের ৭/৮ দাগের ০.০৭একর (৭শতাংশ) জমির সম্পত্তি চর্চা রেকর্ডীয় মালিক ছিল রাখাল মন্ডল। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিক হন নগেন মন্ডল। তার মৃতুর পর মালিক হন তার পুত্র নির্মল, নান্টু ও পরিমল। উক্ত ৩জন ওয়ারিশ চর্চা ৭দাগের জমি ঐ একই গ্রামের কেতাবালী মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার কাছে বিক্রয় করেন। লাল মিয় উক্ত জমিতে ২০বছর বসবাস করে ২০০৫সালে স্থানীয় আচমত আলী খাঁর ছেলে মফছের খাঁর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। অতপরঃ মফছের খাঁ উক্ত জমিতে দখলে যেতে চাইলে পার্শ্ববর্তী ফারুকের স্ত্রী পারুল বেগম জমির দখল নিয়ে নেয়। এদিকে মফছের খাঁ ক্রয় সূত্রে উক্ত জমিতে যেতে না পেরে জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্তকালে শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে প্রয়োজনী কাগজপত্র দাখিল করতে বললে মফছের খাঁ তার ক্রয় সূত্রে ১৩০২নং মূল দলিল ও পারুল বেগম আদালতের ডিগ্রি দেখান এবং উভয়পক্ষই যে যার জমিতে দখলে আছে বলে একটি প্রতিবেদন আাদালতে দাখিল করলে ফের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর তদন্তভার বর্তায়। পারুল বেগমের ঘরের পিছনে বিরোধপূর্ণ জমি খালি পড়ে আছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত মামলাটি আদালতে তদন্তাধীণ। মফছের খাঁ আদালতে মামলা করলে পারুল বেগম আবার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ উভয়পক্ষকে নোটিস করে রায়ের নকশা অনুযায়ী একজন আমিন দিয়ে উক্ত জমি মাপার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও পারুল বেগম তা মেনে নেয় নি। ফলে উক্ত জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরো বাড়তে থাকে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, মাত্র ৭শতাংশ জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মামলা-মোকদ্দমায় জমির চেয়েও কয়েকগুণ বেশী টাকা ব্যয় হয়ে গেছে।  এ জমি নিয়ে এখন এলাকায় অরাজকাতা বিড়াজ করছে। উভয়পক্ষই থানায় একাধিক অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং সমাধানের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সরকারী আমিন ছাড়া এ জমির সুষ্ঠু সমাধান হওয়া সম্ভব নয় বলে একাধিক এলাকাবাসী জানান।

মফছের খাঁ সাংবাদিকদের জানান, ‘পারুল বেগম তার জমিতেই থাকা সত্ত্বেও আমার ক্রয়কৃত জমির মালিকানা দাবী করছে। জমির মাপে সে কোনো কিছুই মানছেন না। উক্ত জমি থেকে সড়াতে আমার উপর প্রভাব খাটানো হচ্ছে। সরকারী লোকজনের উপস্থিতিতে সরকারী আমিন দিয়ে উক্ত জমি মাপার জন্য আমি প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি’।

পারুল বেগম বলেন, ‘আমিও চাই উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধের অবসান হোক। সরকারী আমিন দিয়ে মাপলে আমি মেনে নিব’।