বরিশালে গৃহনির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি

ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবেশ অধিদফতর জাহাজ কাটা শিল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় কাঁচামাল সংকটের কারণে লৌহসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপর্যয় নেমে এসেছে ফার্নিচারসহ অন্যান্য শিল্পেও। যেমন লোহা, নাট-বল্টুর মূল্যও বেড়েছে। পেরেকের কেজি ৫৬ টাকা থেকে ৯ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গৃহনির্মাণের অন্যতম উপাদান রডের মূল্য ২ মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রডের উৎপাদন কম থাকায় প্রতিদিন দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গতকাল নগরীর রডের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি টন ৪০ গ্রেড এমএস রড বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ হাজার টাকায়। এছাড়া প্রতি টন ৬০ গ্রেড রড ৬০ হাজার ৫০০ ও সাধারণ রড ৫৪-৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত মাসে প্রকার ভেদে বিভিন্ন ধরনের রডে ১০ হাজার টাকা কম ছিল। আর গত দুই মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। রড ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, রডের দাম স্মরণকালের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে চীনের আয়োজনে বিশ্বকাপ ফুটবলের স্টেডিয়াম তৈরিকালে বাংলাদেশে রডের মূল্য সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় উঠেছিল। এবার একদিনে তিনবার রডের দাম বৃদ্ধির ঘটনাও ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গৃহনির্মাণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে লৌহজাত সামগ্রীর মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা উচিত।