বিএম কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রদের স্মারক লিপি পেশ

নামানোর ঘটনায় এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আন্দোলনকারী ওইসব ছাত্ররা। ওই শিক্ষকের নাম এস.এম হোসেন আলী। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অথ্যাপক। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দায়ী ওই শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে আন্দোলন কমিটির আহবায়ক তানজির আলম এ BM Collegeস্মারকলিপি জমাদেন। স্মারকলিপিতে তানজির উল্লেখ করেন, গত ৬ ফেব্র“য়ারী কলেজ ক্যাম্পাসে যে মিছিলটি হয়েছিল তার রোডম্যাপ প্রনয়ন করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এম হোসেন আলী। তিনি সাধারন ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে এ আন্দোলনে নামান বলে উল্লেখ করা হয়। ওই শিক্ষক তাদের জানান, যে পদ্ধতিতে নতুন প্রশ্ন প্রনয়ন করা হয়েছে তা সাধারন ছাত্রদের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া এ কোর্সের নতুন কোন বই এখনো বের হয়নি তাই ছাত্ররা ভাল মার্ক পাবে না। তাই তিনি ছাত্রদের আন্দোলনে নামার জন্য বলেন। একই সাথে তিনি এই বলে ভরসা দেন যে, কোন সমস্যা হলে তিনি দেখবেন। তার এই ভরসা অনুযায়ী ছাত্ররা মিছিলে নামেন বলে এতে উল্লে¬খ করা হয়। এমনকি আন্দোলনে নামার আগে তিনি এসব ছাত্রদের মাথায় হাত বুলিয়ে আর্শিবাদ করে দেন এবং উল্টো তিনিই আবার গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছে ছাত্রদের (তানজির, কামরুল, বিকাশের) নাম জানিয়ে দেন। একইসাথে এতে আরো উল্লে¬খ করা হয় কামরুল দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজে আসেনা তাই উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে কামরুলের নাম বলে দেন। এতে আরো বলা হয়, তারা নির্মম ষড়যন্ত্রের শিকার এবং ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার জন্য তারা ক্ষমা প্রর্থনা করেন। এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক এস.এম হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকা অবস্থান করছেন। কলেজে কি হচ্ছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস জানান, বিষয়টি কলেজ প্রশাসন গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে। অনুসন্ধান শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।