বরিশালে গুটি ইউরিয়ার ৫ টি ব্রিকোয়েট মেশিন স্থাপন করা হবে

এ লক্ষ্যে ৯শত ৬০জন কৃষক এবং উৎপাদককে প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্ভুব্ধ করন মূল উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। সদর উপজেলায় গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অধিক ফলনে কৃষকরা লাভবান হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সদর উপজেলায় ২টি ব্রিকোয়েট মেশিন রয়েছে। নতুন করে আরো ৫টি ব্রিকোয়েট মেশিন স্থাপন করা হবে। এ নিয়ে মেশিনের সংখ্যা দাড়াবে ৭ টি। হাট-বাজারে কিংবা ডিলারদের কাছে চাহিদা মোতাবেক গুটি ইউরিয়া না পাওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্বেও কৃষকরা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে সারের সাশ্রয় এবং ২৫ ভাগ বেশি ফলনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার কৃষকেরা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য গত বছরের ১৫ নবেম্বর থেকে বরিশালের কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করন ও উৎপাদনকারীদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।

আইএফডিসি’র তথ্য মতে, প্রতিটি ব্রিকোয়েট মেশিনের মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যার উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিদিন ৩’শ কেজি। মেশিনের মূল্যের ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৯৭ হাজার ৫’শত টাকা আইএফডিসি অবশিষ্ট ৪২ হাজার ৫শত টাকা দিতে হবে উৎপাদনকারীদেরকে। একজন সার ডিলারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মেশিন প্রদান করা হবে। কারন গুড়ো ইউরিয়া অর্থাৎ গুটি ইউরিয়ার কাঁচা মালের সংকট যেন না হয়। তবে সার ডিলারদের সাথে পর্যাপ্ত গুড়ো ইউরিয়া সরবরাহের চুক্তি থাকলে অন্য যেকোন উদ্যোক্তাকে মেশিন দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে সকল ক্ষেত্রেই ১০ হাত বাই ৮ হাতের পাঁকা বা আধা পাঁকা ঘর ঠিক এমন স্থান থাকতে হবে, যেখান থেকে পরিবহন খরচ খুব অল্প হয়। শর্তের মধ্যে আরো থাকছে প্রথম উৎপাদিত গুটি ইউরিয়া থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সকল কৃষককে বিনামূল্যে সাড়ে ১৬ কেজি সার সরবরাহ করা হবে। এতে করে কৃষকদের মাঝে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে আগ্রহ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।

এ ব্যাপারে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের উৎপাদন বিষেশজ্ঞ মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, মুখ্য বিষয় হলো কৃষকদের মাঝে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের সুফল জানানো এবং ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ করন। যা সদর উপজেলার মোট ৭টি ব্রিকোয়েট মেশিন কিছুটা হলেও সরবরাহ নিশ্চিত করেতে পারবে। এদিকে আইএফডিসি’র ফিল্ড মনিটরিং ম্যানেজার মনিরুজ্জামান জানান, কৃষকদের কাছে গুটি ইউরিয়া সহজলভ্য করাই আমাদের মূল্য লক্ষ। এ প্রকল্প চলতি বোরো মৌসুমেই শেষ করা হবে। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাংশু কুমার সাহা জানান, কৃষকদের নিয়েই তাদের চিন্তা ভাবনা। এক্ষেত্রে ব্রিকোয়েট মেশিন এক যুগান্তকারী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। ধারনা করা হচ্ছে ২০১১ সাল থেকে এর ব্যবহার বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।